প্রবল বৃষ্টির দাপটে মালদহের বোমনগোলায় বন্যা পরিস্থিতি, ঘরছাড়া ৫০০ পরিবার
পুনর্ভবার পাশাপাশি মহানন্দা নদীর জলস্তর বেড়েছে

The Truth of Bengal: গত কয়েক দিন ধরেই এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে। আগামী কয়েক দিনেও ভারী বৃষ্টির জেরে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মালদহের বামনগোলাতে। স্থানীয় সূত্রের খবর, একাধিক জায়গায় বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। ২টি পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রবল বর্ষণের জেরে বামনগোলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জল ঢুকতে শুরু করেছে রয়েচটি এলাকায়। বর্তমান যা পরিস্থিতি, তার জেরে ঘরছাড়া রয়এছে প্রায় ৫০০ টি পরিবার। স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিতে হয়েছে অনেককে। জেলাপ্রশাসনের তরফে ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সব থেকে বেশি খারাপ পরিস্থিতি বামনগোলার দুটি পঞ্চায়েত। আরও দুটি পঞ্চায়েতের অবস্থাও খারাপের দিকে। বাঁধের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে, কোনওক্রমে মাটি-বালির বস্তা দিয়ে জলের স্রোত আটকানো হচ্ছে। কিন্তু এভাবে কতক্ষণ, সেটাই বড় প্রশ্ন।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পুনর্ভবার পাশাপাশি মহানন্দা নদীর জলস্তর বেড়েছে। এর ফলে মালদহের অসংরক্ষিত এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এক তলা, এমনকি দোতলা বাড়ির অর্ধেক অংশ জলের তলায় চলে গিয়েছে। বেশ কিছু পাকা বাড়ির একতলার একাংশ জলের নীচে। বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদেও। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে রয়েছে নিমতিতা, সামসেরগঞ্জ এলাকায়। গঙ্গা তীরবর্তী এলাকা মহেশটোলা, শিবপুরের বাঁধে ভাঙন দেখা দিতে শুরু করেছে।
দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা যেমন পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং হাওড়াযর একাংশে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নে জরুরি বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, ডিভিসি-র জলাধারগুলি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও জল ছাড়া হতে পারে। তাই প্লাবিত হতে পারে এমন বেশ কিছু এলাকা থেকে বহু মানুষকে অন্যত্রে সরানো হয়েছে।