
Thee Truth Of Bengal: শান্তিপুরের একটি জলাভূমি’কে কেন্দ্র করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক যুবক’কে মারধরের অভিযোগ ওঠে নদীয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী, তথা প্রাক্তন সংসদ জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে। আহতের নাম সুব্রত মুন্ডা। এদিন তাঁকে ঘটনার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসাধীন হওয়ার নির্দেশ দেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে শান্তিপুর হাসপাতালে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন সকাল থেকেই এলাকায় সরগরম রাজ্য রাজনীতির পরিবেশ। সামান্য জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে প্রাক্তন সংসদ জগন্নাথ সরকার এদিন অভিযোগ করেছিলেন, আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষজন তার ওপর আক্রমণ করেন এবং গাড়ি ভাঙচুর করেন।
পরবর্তীতে দেখা যায় যে আদিবাসী পরিবারের এক যুবক এক মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন জগন্নাথ সরকারের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। আর তাতেই পথ অবরোধ,বিক্ষোভ শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আক্রান্ত সুব্রত মুন্ডার সঙ্গে দেখা করতে এলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিনের এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর,রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি দেবাশীষ গাঙ্গুলী, শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের অবজারভার সভ্যসাচী দত্ত সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধিরা।
শান্তিপুর হাসপাতালে এসে উপস্থিত হন তারা। তারপর আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন এবং কথা বলেন তার পরিবারের সাথে। যদিও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সভ্যসাচী দত্ত জানান,বলতে লজ্জা লাগছে একজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে এরকম নির্মমভাবে আঘাত হানা হয়েছে। আমরা কোনদিনই বলছি না আক্রান্ত ব্যক্তি তৃণমূলের কর্মী। তবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কুমিরের কান্না কাঁদছে, অপরদিকে তারই সংসদ তার দেহরক্ষীদের দিয়ে এবং নিজে লাথি মেরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনদের আঘাত করছে। আমরা বলে রাখি যদি এই কাজ কেন্দ্রীয় বাহিনী করে তাহলে,তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেকটা সৈনিক বুক চিতিয়ে দাঁড়াবে এবং প্রতিবাদ করবে। যদি ক্ষমতা থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখাক কটা গুলি বন্ধুকে আছে। অপরদিকে বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী জানান, বলতে লজ্জা লাগছে চোখে জল আসছে। এটাই হয়তো বিজেপি আর এটাই হলো মোদির গ্যারান্টি।
যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল এই ঘটনা নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে লিখিত আকারে অভিযোগ করা হবে। অপরদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেও গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এবং মুখ্যমন্ত্রী আক্রান্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন,আক্রান্ত ব্যক্তির যেন কোন রকম সেবা সুশ্রষার অভাব না হয়। তিনি এই পরিবারের পাশে সর্বদা রয়েছেন। যদিও একদিকে যখন সাংসদের নিরাপত্তারক্ষী এবং সংসদের হাতে নিগৃহীত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুবক সুব্রত মুন্ডা, ঠিক সেই সময় ভোট প্রচার এবং রামনবমীর মিছিলে পা মেলাচ্ছেন অভিযুক্ত বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন সংসদ জগন্নাথ সরকার, ছি ছি ছি এটাই হচ্ছে বিজেপি এটাই তাদের আসল পরিচয়। “আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী কুমিরের কান্না কাঁদছেন!”-অপরদিকে বিজেপি প্রার্থীর মারে আদিবাসী সম্প্রদায়ের একজন যুবক নিজের শরীরের যন্ত্রণায় হাসপাতালে ছটফট করছে, হাসপাতালে আহত যুবককে দেখতে এসে এই ভাষাতেই আক্রমণ সব্যসাচী দত্ত।