ভাগ্নের বিয়ে, বিলকিস বানো মামলায় এক অভিযুক্তকে প্যারোলে ছুটি দিল আদালত
The court granted parole to an accused in the Bilkis Bano case

The Truth Of Bengal : বিলকিস বানো মামলায় দোষী সাব্যস্ত এক অভিযুক্তকে প্যারোলে মুক্তি দিলো আদালত। ভাগ্নের বিয়ের অজুহাতে রমেশ চন্দনাকে পাঁচ মার্চ থেকে ১০ দিনে প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে আদালত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে যাঁদের জেলে ফেরানো হল, তাঁদেরই একজনের প্যারোল মঞ্জুর করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ধর্ষকদের নিয়ে নাটক অব্যাহত। বিলকিস বানো মামলায় দোষী সাব্যস্ত একজন অভিযুক্তকে প্যারোলে মুক্তি দিল আদালত। জানা গিয়েছে , প্যারোলের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত রমেশ চন্দনা। তাঁর আবেদন ছিল , সামনেই রয়েছে বোনের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান। সেই কারণেই তাঁকে প্যারোল ছুটি দিতে হবে। আগামী ৫ মার্চ থেকে ১০ দিনের জন্য প্যরোল মঞ্জুর করেছে আদালত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে যাঁদের জেলে ফেরানো হল, তাঁদেরই একজনের প্যারোল মঞ্জুর করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এর আগে আরও এক অপরাধীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। চন্দনা এই প্রথম নয়, এরআগেও প্যারোলে মুক্তি পান। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০০৮ সালে চন্দনা ১,১৯৮ দিন প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন। শুধু চন্দনা নন এরআগে প্যারোলে মুক্তি পান প্রদীপ মোধিয়া নামে আরও একজন অভিযুক্ত। তিনি হাইকোর্ট প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর করার পর ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি গোধরা জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি পান।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গা চলাকালীন বিলকিস বানোকে ধর্ষণ করেছিল ১১ জন অভিযুক্ত। পাশাপাশি বিলকিস বানোর পরিবারের সদস্যদের খুন করেছিল অভিযুক্তরা। ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে ১১ জন দোষীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। মাসখানেক আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর জেলে ফেরানো হয়েছিল ধর্ষকদের। এবার তাঁদের একজনকে প্যারলে মুক্তি দিল গুজরাট হাই কোর্ট এই ঘটনার পরেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগারত্না ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের আগাম মুক্তি দেওয়ার অধিকার গুজরাত সরকারের নেই। এরপরের বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমের এই রায়দানে স্বস্তি পান বিলকিস বানো।
FREE ACCESS