
The Truth of Bengal: বাঙালির জীবনে উৎসব –অনুষ্ঠানের মতোই মেলারও শেষ নেই।প্রায়শই ধর্মীয় কারণ হোক বা সামাজিক উদ্দেশ্য,মেলা লেগেই থাকে। আর সেই মেলাকে ঘিরে অর্থনীতিও যে চাঙ্গা হয় তাও বলাই যায়। উঃদিনাজপুরের চোপড়ায় আয়োজন করা হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন জহর মেলার। বাংলায় ৪দিন দুর্গাপুজো হলেও এখানে দেবী-র আরাধনা করা হয় ১দিনে। দুর্গার সঙ্গে শিব-নায়ারণ,গঙ্গা সহ ২৮ দেব-দেবীকে পুজোপাঠ করা হয়।
আর দুর্গাপুজোর আটদিন পর বসে এই জহর মেলা।যেখানে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মেলা আলাদা আবেগের ছোঁয়া পায়। ১৩৬বছরে পড়ল এই মেলা। জনতার আনন্দের অনুষ্ঠান ঘিরে সমাজের সবস্তরে সাড়া পড়ে যায়।এবারও মেলায় দূরদূরান্তের ব্যাবসায়ীরা এসেছেন। দোকানদারেরা পশরা নিয়ে মেলায় হাজির হয়েছেন। নাগরদোলা থেকে শুরু করে হরেকরকম দোকান বসেছে। আগে এই মেলাতে জেলার প্রসিদ্ধ হস্তশিল্প মাটির তৈরি হাঁড়ি, হাতে তৈরি মাদুর, মাটির পুতুল, মাটির চাকা যুক্ত টমটম গাড়ি পাওয়া যেত।
দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসব কিনতেই ভিড় করত। মেলায় এসে সকলেই মাটির হাঁড়ি কিনত এবং ওই হাঁড়িতে পবিরারের প্রয়োজন অনুসারে জিলিপি নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে মাটির হাঁড়ির ব্যাবহার কমেছে। সেইসঙ্গে মাটির পুতুল ও হাতে তৈরি মাদুরের চাহিদাও কমেছে। টমটম গাড়ি খুবই কম দেখা যায়। ফলে এখন মেলাতে এই ধরনের দোকানের সংখ্যা কমেছে। পুরনো দিনের জিনিস পত্রের সংখ্যা কমলেও, নতুনের চাহিদা বেড়েছে। ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড়ে এখন এই মেলা সর্বজনীন-সামাজিক মেলায় পরিণত হয়েছে।
Free Access