
The Truth of Bengal: বনবাস কালে রাম, সীতা ও লক্ষ্মণ গোদাবরী নদীর তীরে পঞ্চবটী বনে কুটির নির্মাণ করেছিলেন। সেখানেই তাঁরা বসবাস করতে থাকেন। রামায়ণে উল্লেখ আছে এই পঞ্চবটীর কথা। রামায়ণে বর্ণিত সেই পঞ্চবটী গড়ে তোলা হয়েছে অনেক জায়গায়। পাঁচটি বৃক্ষ বট, অশ্বত্থ, আমলকি, বেল ও অশোক নিয়ে পঞ্চবটী। সাধকদের কাছে যার গুরুত্ব অপরিসীম। এর ছায়ায় যেমন শান্তি আছে, তেমনই রয়েছে ভেষজ গুণ।
এবার তেমনই একটি পঞ্চবটী বন গড়ে তোলা হল বাঁকুড়ায়। রামায়ণে বর্ণিত পঞ্চবটীর আদলে বাঁকুড়া পঞ্চবটীতে গোলাকৃতি করে লাগানো আছে পাঁচটি বটবৃক্ষ আর বটবৃক্ষের তলে আছে আশ্রম। ঠিক যেন রামায়ণের পাতা থেকে উঠে এসেছে এক টুকরো পঞ্চবটী। দারিপোতা এলাকার বাসিন্দা রেণুপদ নন্দী গড়ে তুলেছেন পঞ্চবটীর পরিবেশ ও আশ্রম। এই পঞ্চবাটিতে নিয়মিত হয় হরিনাম সংকীর্তন। বছরে একবার জাঁকজমক পূর্ণ মেলা বসে।
মহাকাব্য রামায়ণে বর্ণিত ১৪ বছর বনবাস কালে রামচন্দ্র স্ত্রী সীতা এবং ভাই লক্ষ্মণকে নিয়ে আশ্রম গড়ে তুলেছিলেন পঞ্চবাটীর পর্ণকুঠিরে। আর সেই পঞ্চবাটীর আদলেই বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের দারিপোতা এলাকার গড়ে উঠেছে এমন পঞ্চবাটী আশ্রম। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি রেণুপদ নন্দী নিজের উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন পঞ্চবাটীর পরিবেশ ও আশ্রম। এখন বহু মানুষ আসে বাঁকুড়ার এই পঞ্চবাটী দেখতে।
Free Access