
The Truth of Bengal: ভিনরাজ্যে বাংলার মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা সুইটি পালের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার মুম্বইতে। মহিলার স্বামীর দাবি, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাত ১০ নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার বেলেঘাটা এলাকায়। যদিও অন্যদিকে, মুম্বই থেকে দাসপুরে বেলেঘাটায় গৃহবধূর মৃতদেহ পৌঁছাতেই মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের। তাঁদের অভিযোগ, মেয়েকে মেরেছে তাঁর স্বামী। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাঁদের উপস্থিতিতে সৎকার করা হয় গৃহবধূর মৃতদেহ।
উল্লেখ্য, প্রায় দেড় বছর আগে দাসপুর বেলেঘাটার বাসিন্দা শম্ভু পালের ছেলে দীপঙ্কর পালের সাথে বিবাহ হয় ঘাটালের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা সুইটি দলুইয়ের। বিয়ের পর থেকে মাঝের মধ্যেই অশান্তি লেগে থাকত সংসারে। দীপঙ্কর তাঁর স্ত্রী সুইটি পালকে নিয়ে দু’মাস আগে মুম্বই কাজে চলে যায়। গত শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘাটালের শ্রীপুর গ্রামে গৃহবধূর বাপের বাড়িতে ফোন যায়, যে মুম্বইয়ে তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ আত্মহত্যা নয় তাঁদের মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে তার স্বামী দীপঙ্কর পাল।
গৃহবধূর মৃতদেহ ভিন রাজ্য থেকে দাসপুরে আনার দাবিতে সোমবার দুপুর নাগাদ বেলেঘাটায় শ্বশুরবাড়ি ভাঙচুর চালায় বাপের বাড়ির সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দাসপুর থানার পুলিশ বাহিনী। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তারপর বুধবার রাত প্রায় সাড়ে নটা নাগাদ গৃহবধুর মৃতদেহ ভিন রাজ্য থেকে দাসপুরের বেলেঘাটায় পৌছাতেই মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় গৃহবধুর বাপের বাড়ি সদস্যরা, তাদের অভিযোগ তাদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তাঁর স্বামী। জামাইয়ের ফাঁসি চাই, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী, অবশেষে দাসপুর পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহ সৎকার করা হয়।
Free Access