বোলপুরের মুকুটে যুক্ত হতে চলেছে নতুন পালক ,রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি অত্যাধুনিক পর্যটক নিবাস
A new feather is going to be added to the crown of Bolpur, the state government's state-of-the-art tourist accommodation

The Truth Of Bengal: বাউলের তীর্থভূমিতে তৈরি হয়েছে বাউল বিতান পর্যটক নিবাস। কবিগুরুর স্বপ্নের ভূমিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই অত্যাধুনিক পর্যটক নিবাস পর্যটনের বাড়তি সুবিধা করে দেবে বলে আশা প্রশাসনের কর্তাদের।বাংলার ভ্রমণবিলাসীদের মতোই বিদেশীরাও এই বোলপুরের প্রাণকেন্দ্রে থাকার বাড়তি সুযোগ পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বাউল বিতান পর্যটক নিবাসের উদ্বোধন করবেন।
বোলপুর পর্যটনের স্বর্গভূমি হয়ে উঠছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেই বোলপুরের মুকুটে যুক্ত হতে চলেছে নতুন পালক।তৈরি করা হচ্ছে বাউল বিতান পর্যটক নিবাস। রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরও পর্যটন উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে ঢেলে সাজানো হয়েছে।সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বীরভূম জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ১০ একর জায়গার উপর প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয় গড়ে উঠেছে বাউল বিতান পর্যটন কেন্দ্র।শহরের সংস্কৃতিক পরম্পরা সব কিছুকে প্রাধান্য দিয়েই নির্মাণ করা হয়েছে ৩২টি কটেজ। পর্যটকদের যাতে পরিষেবা পেতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য তৈরি করা হয়েছে ক্যাফেটেরিয়া, ১০০ জন বসার মতঅডিটোরিয়াম, বাউলের আখড়া, মুক্ত মঞ্চ।
১২ বছর বয়সে বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে এই মাটিতে পা দিয়েছিল বালক রবি। তারপর তাঁর হাত ধরেই ক্রমেই এই জায়গা ঐতিহাসিক খ্যাতি অর্জন করে। পর্যটকদের কাছে শান্তিনিকেতন অন্যতম প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। দেশের পর্যটকদের মতোই বিদেশি পর্যটকরাও এই বোলপুরে বারবার ছুটে আসে। দূরদূরান্তের পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই বোলপুর-শান্তিনিকেতন থেকে পাঁচ কিলোমিটারের দূরেশান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশে সিয়ানে গড়ে উঠেছে বাউল বিতান পর্যটন কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম সফরের সময় সিউড়ি থেকে বাউল বিতানের উদ্বোধন করতে চান।তাই পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির প্রাণছন্দকে উজ্বীবিত করতে এই বিশাল কর্মষজ্ঞ রোজগারের সুযোগ করে দেবে বলা যায়।
FREE ACCESS