উৎসবের মরসুমে পর্যটকদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সরকারি উদ্যোগে বিকল্প জমির খোঁজ শুরু দিঘায়
A government initiative has started looking for alternative land in Digha for tourist car parking during the festival season

The Truth Of Bengal: পুজোর পরেই দিঘায় উদ্বোধন হতে চলেছে জগন্নাথ মন্দির। নিউ দিঘার ভোগী ব্রহ্মপুর মৌজায় পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। ২০ একরের বেশি জমিতে হিডকো ওই মন্দির নির্মান করছে। মূল মন্দিরের পাশাপাশি জোর কদমে কাজ চলছে ভোগ ঘর, নাট মন্দির, গর্ভগৃহ নির্মাণের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবছর এপ্রিলে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করার কথা ঘোষণা করলেও কিছু কাজ বাকি থাকায় পুজোর পরে পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দির।
পর্যটকদের পাশাপাশি কয়েক গুণ পুণ্যার্থীর ভিড়ে ছেয়ে যাবে সৈকত নগরীতে। তাই দিঘায় রাজ্য সরকারের নির্দেশে পর্যটকদের বাস এবং গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিকল্প জমির খোঁজ শুরু হল। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রোনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গার খোঁজ শুরু হয়েছে। ডিএসডিএ-র কর্মীদেরও এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে রথের চাকা গড়াবে বলে নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন মমতা। কলকাতার রথের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,” কিছু কাজ বাকি। পুজোর পর জগন্নাথ ধামের উদ্বোধন হবে।”
ডিএসডিএ-র তরফে জানানো হচ্ছে, সৈকত শহরে ডিসেম্বর থেকে পর্যটনের ভরা মরশুম শুরু হয়।
যার ফলে প্রচুর ভিড় হয় দিঘায়। এমনিতেই সপ্তাহ শেষের শেষের শনি ও রবিবারের ছুটিতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। তার উপর পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির খুলে গেলে সৈকত নগরীতে কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী সমাগম ঘটবে। চলতি সপ্তাহে নবান্নের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসন এবং ডিএসডিএ কর্তৃপক্ষকে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে পুণ্যার্থীদের গাড়ি পার্কিংয়ের বন্দোবস্ত করতে হবে। তাছাড়াও রাস্তা সম্প্রসারণ করতে হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু মাঝি জানান,”দিঘা শহর জুড়ে বিভিন্ন রকমের জমির খোঁজ চলছে। কোথাও বাস, কোথাও ট্রাক, গাড়ি, সাইকেল, কোথাও মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হবে।”