ঢেঁরশ তুলতে যাওয়ার সময় ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক চাষীর

Truth of Bengal: তরুণ মুখোপাধ্যায়, হুগলি: বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফিলতিতে প্রান গেলো এক চাষীর। তার ছিঁড়ে পরে থাকলেও তাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু থাকল কেন সে প্রশ্ন গ্রামবাসীদের।খোলা তাদের বদলে কেবল দিয়ে বিদ্যুৎ নিয়ে যেত হবে দাবী।

হুগলির বলাগড়ের জিরাট পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নিতাই দাস(৫৩) প্রতিদিনের মতন আজ ভোরে চাষের জমিতে যাচ্ছিলেন সাইকেল নিয়ে। জিরাট কালিতলায় রাস্তার উপরে ছিঁড়ে পড়েছিল ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার। ভোরের আধো অন্ধকারে বিদ্যুতের তার দেখতে পাননি প্রৌঢ়। রাস্তা থেকে জমিতে নামার সময় পড়ে থাকা তার আটকে যায় তার সাইকেল। এলাকায় সেই সময় মানুষজন না থাকায় বেশ কিছুক্ষণ ওই ভাবেই রাস্তায় পড় থাকেন তিনি। বিদ্যুতে ঝলসে যায় তার বা হাতের কব্জি। ডান পায়ের হাটু ও ডান হাত পুড়ে যায়।

পরবর্তী সময় স্থানীয়রা দেখতে পেলে বিদ্যুৎ দপ্তরে যোগাযোগ করে বন্ধ করা হয় বিদ্যুৎ। তারে তাল গাছের পাতা পরার কারনে ছিঁড়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। নিতাই দাসের দাদা স্বপন দাস জানান, ভাই প্রতিদিনের মতন আজও জমিতে যাচ্ছিল ভেন্ডি তুলতে। এমন ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি। বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফিলতিতেই এমন ঘটনাটা ঘটেছে। দীর্ঘদিনের পুরনো তার যেটা ছিঁড়ে পড়েছিল বলেই ভাই মারা গেল। চাষ করে সংসার চালাতে হয়। এখন আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। সরকার যদি কিছু সাহায্য করে তাহলে ভালো হয়।