ভ্রমণ

এই বর্ষায় ছুটি কাটাতে চলে আসুন নবাবের শহরের ঐতিহাসিক কাটরা মসজিদ থেকে

Visit the historic Katra Masjid in the city of Nawab for this monsoon vacation

The Truth of Bengal: কলকাতাতে চলতি সপ্তাহের শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। এই ভরা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে যাওয়া এই সময় বিপদ। তাই চলুন নবাবের শররের অন্য এক ঠিকানা থেকে আজ ঘুরে আসা যাক। ভাবছেন কোথায় যাবেন? মুর্শিদাবাদের কাটরা মসজিদ গেছেন কখনও? না গিয়ে থাকলে ঘুরে আসুন এই লাল পোড়ামাটির গম্বুজাকৃতির ৫ খিলান যুক্ত এই মসজিদ থেকে।ইতিহাস ও ঐতিহ্যের টানে বছরের পর বছর হাজারও পর্যটক ছুটে আসেন মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদকে বলা হয় দ্যা ল্যান্ড অফ নবাবী। ভাগীরথী নদীর পূর্ব দিকে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ শহর। এই মুর্শিদাবাদের পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাসের ছোঁয়া। শুধু এখানে হাজারদুয়ারি আছে তেমনটা নয়, এখানে আছে আরও অনেক নবাবী স্থাপত্য, মসজিদ ও আরও অনেক কিছু।

তবে চলুন আজকে যাওয়া যাক মুর্শিদাবাদের কাটরা মসজিদে। মুর্শিদাবাদের অন্যতমও নিদর্শনের মধ্যে একটি হল কাটরা মসজিদ। এই মসজিদের ঢোকার মুখেই রয়েছে লাল রঙের চোখ জুড়ানো স্থাপনা। এই মসজিদ ১৭২৩ থেকে ১৭২৪ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছে। তৈরি করেছেন মুর্শিদকুলি খান। বর্তমানে এই চতুর্ভুজাকৃতি মসজিদে রয়েছে নবাব মুর্শিদকুলি খাঁয়ের সমাধি। মসজিদে লাল রঙের পোড়া ইটের উঁচু উঁচু বর্গাকৃতি স্তম্ভ রয়েছে। প্রাচীন কালে এই মসজিদের ভিতরে প্রতিটি কক্ষে প্রায় ৭০০ জন লোক কোরআন পড়তেন।

এই মসজিদের চার কোণায় চারটি মিনার অবস্থিত। এই ৪ টি মিনারের উচ্চতা ৭০ ফুট, এবং চওড়া প্রায় ২০ ফুটের মত।  এই মসজিদের সামনের দিকে রয়েছে ৫ টি খিলান। রয়েছে ৫ টি গম্বুজও। মসজিদের বাইরে যেদিকেই চোখ যায় সেদিকই সবুজে ঘেরা বাগান। ১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পের কারণে মসজিদের একাধিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মসজিদের মূল রাস্তা পর্যন্ত পাথর দিয়ে বাঁধাই করা একটি রাস্তা রয়েছে। মুর্শিদাবাদের রেলস্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত এই মসজিদ। ভাবছেন যাবেন কি ভাবে ? হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেনে করে পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদ স্টেশন। সেখান থেকে টোটো বা অটো করে পৌঁছে যান এই মসজিদে।

Related Articles