ভ্রমণ

সুন্দরবনের নতুন চমক মুক্তি পার্ক

Sundarban tourisam

The Truth of Bengal: সুন্দরবনের আলাদা সন্মোহনী আকর্ষণ রয়েছে।সেই সৌন্দর্য যাঁরা একবার দুচোখ ভরে দেখেছেন তাঁরা বারবার সেখানে যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন।  সুন্দরবনের নদীপথে প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করার পাশাপাশি ঝড়খালিতে ওয়াইল্ড লাইফ অ্যানিম্যাল পার্কের বাঘ, হরিণ, কুমিরের দর্শন বাড়তি উৎসাহ জুগিয়েছে পর্যটকদের।   ঝড়খালি  সজনেখালি, সুধন্যখালিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকদের ভিড়  গতবারই দেখা যায়।এবারও শীতের আগে জমজমাট  ভিড় দেখা যাচ্ছে। পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির গতি বাড়ায় সুন্দরবন এখন ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র থেকে রোজগারের স্বপ্নের ঠিকানা হয়ে উঠেছে।

প্রশাসন চাইছে বিশ্ব-বৈচিত্র্যের অপরূপ প্রান্তর সুন্দরবনকে সবদিক থেকে দৃষ্টিনন্দন রূপে তুলে ধরতে।কারণ বিশ্ব অর্থনীতির পরিসংখ্যান বলছে,বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই সুন্দরবনে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় প্রশাসন।সেই লক্ষ্যে প্রত্যন্ত এলাকাকেও সাজিয়ে গুছিয়ে তুলতে তত্পর।যারজন্য নগেন্দ্রপুরে তৈরি হল মু্ক্তিপার্ক। মনি নদী  সংলগ্ন মুক্তি পার্ক এখন সবার নজর কাড়ছে,।নদীর অবিরাম ধারার সঙ্গে ফুলের শোভা, সৌন্দর্যের নতুন সন্ধানকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। দূর দূরান্তের মানুষ এখানে এলে আর নিরাশ হয়ে ফিরে যাবেন না।রাতে থেকে নৈশ সৌন্দর্যও দুচোখ ভরে চা ক্ষুষ করতে পারবেন।রাতে থাকার ব্যবস্থা থাকায় বিদেশীরাও সুন্দরবনে আসছেন।

যাঁরা মু্ক্তিপার্ক একবার দেখছেন তাঁরা প্রকৃতির প্রতি বাড়তি টান অনুভব করছেন। বিগতদিনে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ইয়াস, বুলবুল, আমফান সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বারবার প্লাবিত হয়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়েছে এলাকা ভেঙেছে হাজার হাজার বাড়ি। যাতে আর সেই ঝড়ের দাপটে দ্বীপ অঞ্চলের ক্ষতি না হয় সেজন্য বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার কে দিয়ে গবেষণা করে তৈরি হয়েছে এই সুন্দর সুরক্ষিত ঘর। এরফলে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড়ে কোনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এমনকি জলের উচ্চতা বাড়লেও ঘরগুলিতে জল উঠবে না,প্রশাসনের তরফে তেমনটাই জানানো হয়েছে।

Related Articles