রাজস্থানের হনুমান মন্দিরের আদলে নির্মিত হাওড়ায় সালসার পাকুরিয়া ধাম
Salsa Pakuria Dham in Howrah is modeled after the Hanuman temple in Rajasthan

The Truth og Bengal: হাওড়ায় রয়েছে এক টুকরো রাজস্থান। রাজস্থানের হনুমান মন্দিরের আদলে এখানে নির্মিত হয়েছে এক হনুমান মন্দির। যার নাম সালসার পাকুরিয়া ধাম। এই মন্দির খোলা থাকে সকাল ৫ টা ৩০ থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যে কোন দিন ট্রেনে বা বাসে করে পৌঁছে যেতেই পারেন মহাবীর হনুমানের এই মন্দির দর্শনে।
হাওড়া জেলার কোনার কাছে রয়েছে পাকুরিয়া। আর সেখানেই রয়েছে একটুকরো রাজস্থান। নেই কোন উঠ বা দূরদূরান্ত পর্যন্ত দেখা পাওয়া যায়না কোন বালিরাশি। তাহলে ভাবছেন কেন বলছি? এখানে রয়েছে রাজস্থানের হনুমান মন্দিরের আদলে তৈরি হওয়া এক মন্দির যার নাম সালসার পাকুরিয়া ধাম। এই ধাম চাক্ষুষ দেখলে মনে হবে হয়তো রাজস্থানেই চলে এসেছেন আপনি। যারা বজরংবলির পুজো করেন তাদের কাছে এই মন্দির স্বর্গলোকের সমান। পুজোর দিন ভক্তদের ভিড় থাকে দেখার মতো। এই মন্দির স্থাপিত হয় বছর পাঁচেক আগে। ভক্তরা এই মন্দিরে আসলে ভগবান খালি হাতে কাওকে যেতে দেয়না। এমনই কথা প্রচলিত আছে।
রাজস্থানের দৌসা জেলায় মহাবীর হনুমানকে উৎসর্গ করে যে মন্দির নির্মিত হয়েছে সেই মন্দিরের নাম বালাজি মন্দির। তাই অনেকে হাওড়ায় গড়ে ওঠা এই মন্দিরকেও বলে থাকেন বালাজির মন্দির। হাওড়ার এই হনুমান মন্দির পুরো পাথর দিয়ে নির্মিত। অপূর্ব কারুকার্য করা এই মন্দির। পুরো মন্দির জুড়ে দেওয়ালে সাদা পাথরে খোদায় করা হনুমানের মূর্তি রয়েছে। রাজস্থানি মন্দিরের আদলে নানা নকশা নিখুঁত ভাবে পাথর কেটে অলংকরণ করেছেন শিল্পীরা। সন্ধ্যে বেলা অসাধারণ আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে এই মন্দির। মন্দিরের ভিতরের আলোর কারুকার্য দেখার মতো। মাথার উপরে রয়েছে আকর্ষণীয় ঝাড়বাতি। মন্দিরে ওঠার জন্য রয়েছে অনেক গুলি সিঁড়ি। সেই সিঁড়ি ধরে উপরে উঠেই পাবেন বীর হনুমানের দর্শন। মন্দির ঢোকার মুখেও রয়েছে বিশাল বড় একটি গেট। এই গেটে ময়ূরের মূর্তি আঁকা রয়েছে। এই মন্দির সকাল ৫ টা ৩০ থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে যেতে গেলে হাওড়া থেকে অনেক বাস পেয়ে যাবেন। আর যদি যেতে চান ট্রেনে তাহলে হাওড়া থেকে ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে কোনা স্টেশন। এর পর স্টেশন থেকে টোটো ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন এই মন্দিরে।