পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা পাইনের ফাঁকে টয়ট্রেন
Migratory birds flock to the toy train in the pines

Truth of Bengal: ঝিকঝিক করে ছুটে চলেছে টয়ট্রেন, চারপাশে সবুজের সমাহার, যা দেখলে চোখে এবং প্রাণে শান্তি অনুভূত হয়। ভাবছেন উত্তরবঙ্গের নতুন কোন ঠিকানার কথা বলছি, একদম ঠিক ধরেছেন, শিলিগুড়ি থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা রংটং, যেখানে শীত আসলেই পরিযায়ী পাখিদের ক্যামেরা বন্দি করতে ছুটে আসেন পর্যটকেরা। চারিদিকে পাইন বন সেই বনের ফাঁক থেকে চেষ্টা করলে দেখা যাবে টয়ট্রেনের এক ছোট্ট স্টেশন যার নাম রংটং। পাহাড়ের বুকে এই ছোট্ট অঞ্চল পর্যটকদের পছন্দের জায়গার মধ্যে একটি।
পাহাড়ের এই অঞ্চলে বছরের যে কোন সময় পর্যটকদের আনাগোনা থাকে যথেষ্ট। দার্জিলিঙয়ের ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেন ছুটে চলে নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়েস্টেশন থেকে শুকনা হয়ে পাহাড়ের অলিগলি পথ পেরিয়ে রংটং এর উপর দিয়ে । চারিদিকে ঘন জঙ্গল ,আর এই জঙ্গলের বুক চিরে চলছে টয়ট্রেন। এই টয়ট্রেনে চড়ে পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া। যারা জীবনে অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাঁদের কাছে এই শিলিগুড়ি থেকে রংটং সাফারি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই অঞ্চল মূলত যারা পাখি দেখতে ভালো বাসেন তাঁদের কাছে স্বর্গস্বরূপ। এই এলাকায় দেখা যায় বহু বিদেশি পাখি।
পাখি প্রেমীরা অজানা অচেনা পাখিদের ক্যামেরা বন্দি করতে বারবার ছুটে আসেন এই পাহাড়ি গন্তব্যে। রংটং যাওয়ার রাস্তার মধ্যে পড়বে মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এই অভয়ারণ্যের মাঝেই দেখা যায় নানা ধরনের বিদেশি পাখি। যে পাখিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ব্ল্যাক ক্রেস্টেড বুলবুল, সার্পেন্টাইন ঈগল, শিকরা, হিমালয়ান বুলবুল, গোল্ডেন ফ্রন্টেড আরও কত ধরনের। এখানে একটি পুরনো পার্ক ও রয়েছে। যে পার্কে বসে সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন আপনি। পড়ন্ত বিকেলে পুরো আকাশের রঙটা পালটে যায়।
শীত আসলেই এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পায়, চারিদিকে ফোটে বিভিন্ন রঙের ফুল। এই রংবেরঙের ফুলের গন্ধে ভরে ওঠে রংটং উপত্যকা। রংটং এ আছে বহু হোমস্টে, যেখানে রাত্রি যাপনের পাশাপাশি পেয়ে যাবেন সুস্বাদু ঘরোয়া খাবার। কিভাবে যাবেন ভাবছেন? রংটং যেতে হলে আপনাকে শিলিগুড়ি হয়ে যেতে হবে। শিলিগুড়ি থেকে রংটং এর দূরত্ব ১৭ কিলোমিটারের মতো। পৌঁছতে মোটামুটি সময় লাগবে ৪০ মিনিট। তাই দেরি না করে আসছে শীতের মরশুমেই ঘুরে আসুন পাখিদের এই স্বর্গরাজ্য থেকে।