ভ্রমণ
Trending

ঐতিহাসিক স্বাক্ষর বহন করা কুরুম্বেরা দুর্গ       

Kurumbera Fort bearing historical signature

The Truth Of Bengal: সুদূরকে নিকট করা, অজানাকে জানার ইচ্ছে মানুষের স্বভাবজাত। বাংলায় এমন কিছু স্থান আছে  যার   ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব মানুষকে আরও বেশি করে আকৃষ্ট করে তোলে । ভ্রমণের প্রকৃত আনন্দকে উপলব্ধি করতে তাই ঘুরে আসুন ইতিহাসের স্বাক্ষর বহন করে চলা কেশিয়াড়ির গগনেশ্বরের কুরুমবেরা দুর্গ থেকে।

দুর্গের পরতে পরতে ইতিহাসের হাতছানি। ঐতিহ্যের টানে বহু পর্যটক এসে ভিড়ও জমান কুরুমবেরা দুর্গ দর্শনে।কুরুম্বেরা সম্পূর্ণভাবে ওড়িয়া স্থাপত্যকলার নিদর্শন। এই দুর্গের বাইরের স্তম্ভগুলি ফুলের আকারে ছাদকে তুলে ধরেছে। বাঁদিকের গম্বুজের পিছনদিকে রয়েছে আরও কিছু গোলাকার স্তম্ভ। দুর্গের উত্তরমুখী প্রবেশের পথে রয়েছে এক বিশাল দীঘি। রয়েছে ৬৩ টি ছোট কক্ষ যা  প্রায় ৮ ফুট চওড়া।  একসময় হয়তো জনসমাবেশ হতো এখানে।কিছু জায়গায় মসজিদের সঙ্গেও মিল পাওয়া যায় এই দুর্গের। রয়েছে পশ্চিম দিকে অবস্থিত একটি বেদী।কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া যায়নি, যার দ্বারা দুর্গ বা মসজিদের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা যায়।

কুরুমবেরা দুর্গের নির্মাণ নিয়ে বিভিন্ন মত প্রচলিত। ইংরেজরা জেলার গেজেটিয়ার রচনার সময়ও এটিকে দুর্গ বলেই উল্লেখ করেছেন। ওড়িশি স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত আয়তাকার এই সৌধটি প্রায় ৬০০ বছরের প্রাচীন। ১৪৩৮-১৪৭০ সালের মধ্যে ওড়িশার গজপতি সাম্রাজ্যের সূর্য বংশরে রাজা  কপিলেন্দ্র দেবের আমলে নির্মিত হয় এই দুর্গ। মুঘল পাঠানদের সাথেও জড়িয়ে রয়েছে এই দুর্গের ইতিহাস। ঝামা বা ল্যাটেরাইট পাথর দিয়ে আদতে একটি শিবমন্দিরই তৈরি হয়েছিল এখানে।  ২০১১ সালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ দুর্গ সংরক্ষণের কাজে এগিয়ে আসে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পর্যটকদের ভিড়ও।

কীভাবে যাবেন এই ঐতিহাসিক স্থানে?

এই কুরুম্বেরা দুর্গে আসতে হলে আপনাকে দক্ষিণপূর্ব রেলের ট্রেন ধরে চলে আসতে হবে খড়গপুরে। সেখান থেকে  বাসে করে কোশীয়ারি। কোশীয়ারি থেকে আবার বাসে কুকাই। আর কুকাই থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে রয়েছে কুরুম্বেরা দুর্গ। তাহলে চলুন এবার বেড়িয়ে পরা যাক পুরনো কুরুম্বেরা দুর্গের উদ্দেশে।

FREE ACCESS

Related Articles