
The Truth of Bengal: মেঘালয়ের যে জায়গা গুলোতে মূলত পর্যটকেরা যান তার মধ্যে অন্যতম দারিবোকগ্রে। এটি একটি অপরূপ জায়গা। পাহাড় বেষ্টিত গ্রাম একটি। প্রায় ৩৫ টি পরিবারের বসবাস করে। এখানে যারা বসবাস করেন তাদের আদব কায়দা,খাদ্যাভ্যাসের কাছাকাছি পৌঁছে যান পর্যটকেরা। সবুজ বনে ঘেরা এই জায়গাটি। ভাবুক মানুষ যদি মেঘ কে যদি জিজ্ঞেস করে মেঘ তোর বাড়ি কোথায় ? মেঘ নিশ্চিত উত্তর দেবে মেঘালয়। আর মেঘালয় নামটি শোনা মাত্র্ই চোখের সামনে ভেসে উঠবে সাদা মেঘ, সবুজ উপত্যকা, পাইন বনের সারি, উচ্ছ্বল নদী, মনোমুগ্ধকর ঝর্না। এই এত সব কিছুর টানে দেশ তো বটেই বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক ছুটে যান মেঘালয়ে।
মেঘালয়ের যে যে জায়গা গুলো তে মূলত পর্যটকেরা যান তার মধ্যে অন্যতম দারিবোকগ্রে। এটি একটি অপরূপ জায়গা। পাহাড় বেষ্টিত একটি ছোট্ট গ্রাম। প্রায় ৩৫ টি পরিবারের বাস। এখানে যারা বসবাস করেন তাদের আদব কায়দা , খাদ্যাভ্যাসের কাছাকাছি পৌঁছে যান পর্যটকেরা। ঘন সবুজ বনে ঘেরা এই জায়গাটি। এখানে গারো সম্প্রদায়ের মানুষ জন নিজেদেরকে স্থানীয় ভাষায় আচিক মান্ডে বা “পাহাড়ের মানুষ” বলেই পরিচিতি দেন। এঁরা প্রধানত খ্রিস্টান ধর্মকে অনুসরণ করে। এই গ্রামে প্রচুর পরিমাণে কমলার বাগান দেখা যায়। যেখানে গিয়ে আপনি কমলার স্বাদও নিতে পারবেন।
এখানকার বনের পথ অন্বেষণ করেন অনেক সময়ে পর্যটকেরা। এই গ্রামের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে সিমসাং নদী। ছল ছল শব্দে আপন বেগে বয়ে চলা নদীর পাড়ে দু দন্ড বসে সময় কাটান পর্যটকেরা। এখানকার পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়া 1,412 মিটার পর্যন্ত। সব কিছুর স্বাদ নিতে নিতে যদি মনে হয় একটু উঁচু থেকে বন-গ্রামের সৌন্দর্য দেখবেন তাহলে উঠে পড়ুন ওয়াচ টাওয়ারে। এখানে থেকে বৃষ্টি ভেজা গারো পাহাড় দেখতে মন্দ লাগবে না। সেকারণে বছরের নানান সময়ে এখানে ভিড় হলেও বর্ষায় বিশেষ করে এখানে ভিড় বেশি হয়। এখানে যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে মেঘালয় পৌঁছতে হবে তার পর সেখান থেকে গাড়িতে পৌছে যাধ পাহাড় ঘেরা এই গ্রামে ।