খেলা

দলের পাশাপাশি নিজের জন্যও রানে ফেরা দরকার ঋষভের

Rishabh needs to get back on track for himself as well as the team.

Truth Of Bengal: ইন্দুভূষণ রায়, প্রাক্তন ক্রিকেটার: চলতি আইপিএল-এ শুরু থেকেই ছন্দে দেখতে পাচ্ছি না লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে। যত ম্যাচ যাচ্ছে, ততই ব্যর্থতার কড়াল গ্রাস যেন থাবা বসাচ্ছে পন্থের ব্যাটে। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। অনেকের মত আমিও আশা করেছিলাম পন্থ অন্তত রাজস্থানের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাট হাতে রান পাবেন। না তাও আর হল না। লখনউ অধিনায়ককে ফিরতে হল মাত্র ৩ রান করে। যা তাঁর নামের পাশে একেবারেই বেমানান। কেননা আমরা সবাই জানি পন্থ একজন যথেষ্ট দক্ষ ব্যাটার শুধু নন, একজন পিঞ্চ হিটার-ও। অথচ তাঁর ব্যাটেই রান আসছে না।

কারণ, হিসাবে অনেকে নানা কথা বললেও, আমার মনে হয় পন্থের মাথার ওপর অনেক চাপ রয়েছে। যে চাপের কারণেই ঋষভ তাঁর স্বাভাবিক খেলা থেকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছেন। এই চাপটা যেমন মাঠের বাইরে আছে, ঠিক তেমনি মাঠের ভিতরেও আছে। কাজেই এই চাপ থেকে ও যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসতে পারবে ততই মঙ্গল ওর পক্ষে।

মাথায় রাখতে হবে পন্থের খেলা দেখার জন্যও বহু দর্শক মাঠে উপস্থিত হন। তাঁরা যদি দিনের পর দিন পন্থকে এইরকমভাবে কম রানেই আউট হয়ে ফিরতে দেখেন, তাহলে এর পর থেকে আর মাঠে যাবেন কি না সন্দেহ আছে। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস পন্থ চলতি আইপিএল-ই ছন্দে ফিরে আসবেন। এবং যত তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন ততই মঙ্গল লখনউ-র পক্ষে।

এই ম্যাচে বৈভবকে প্রথম দেখার সুযোগ হল। আমার দেখে মনে হয়েছে বৈভব যথেষ্ট একজন প্রতিশ্রুতিমান একজন ক্রিকেটার। ওর মধ্যে প্রতিভা রয়েছে ভবিষ্যতে তারকা হওয়ার। এবং সেটা বৈভব দেখিয়ে দিল। তবে এখনও বৈভবকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। থেমে থাকলে চলবে না।

শনিবারেরে প্রথম ম্যাচে আমি গুজরাট ব্যাটার হিসাবে বাটলারের যে ব্যাটিং দেখলাম, তাতে আমার মনে হয়েছে বাটলার তাঁর স্বাভাবিক খেলাটাই খেলেছেন। যেভাবে ও তাঁর দলকে জয়ের সরণীতে পৌঁছে দিলেন তাতে অবশ্যই প্রশংসার প্রাপ্য। নিখুঁত ইনিংস। একজন ব্যাটারের আত্মবিশ্বাসটা কোন লেভেলে থাকলে এইরকম একটা ইনিংস উপহার দেওয়া যায়, তা বাটলার দেখিয়ে দিলেন।

অনেকে আবার বলছেন, দিল্লির ব্যাটার কেএল রাহুল এই ম্যাচে ঠিকঠাক ব্যাটিং করতে পারেননি। তাই অক্ষরের দলের রান অনেক কম উঠেছে। আমি তাঁদের সঙ্গে একমত নই। টি-টোয়েন্টিতে ২০৩ রান কম রান নয়। রাহুল রান পাননি তো কি হয়েছে! বাকিরা রান করে দিয়েছেন। না হলে ২০০ রানের ওপর উঠল কি করে?

আমার মনে হয়েছে দিল্লি এই ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে ব্যাটারদের জন্য নয়, বোলারদের ব্যর্থতার কারণেই। কেননা বোলাররা সেইভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি, ব্যর্থ হয়েছেন ফিল্ডাররাও।  ফলে স্বাভাবিকভাবেই গুজরাটের বিপক্ষে হারের মুখ দেখতে হয়েছে দিল্লিকে।

Related Articles