Gorapeta scandal: গড়াপেটা কাণ্ডে মাস্টার মাইন্ডদের জালে তুলুক পুলিশ, অনুরোধ কুমারেশের
এই প্রসঙ্গে ময়দানের প্রাক্তন ফুটবলারটি বলেন, ‘ময়দানে গড়াপেটা একটা প্রচলিত প্রথা।
সুদীপ্ত ভট্টাচার্য: কলকাতা ফুটবলের গড়াপেটা কাণ্ড নিয়ে এখন সরগরম বটতলা থেকে বাংলার ফুটবল মহল সর্বত্র। এবং এই কাণ্ড নিয়ে এতটাই সরগরম যে বল গড়িয়ে প্রশাসনিক মহল পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই গড়াপেটাকাণ্ডে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন তিন ব্যক্তি। কিন্তু কলকাতা ময়দানের এই গড়াপেটা কাণ্ড নিয়েই একটা সময় সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার কুমারেশ ভাওয়াল। তাঁর প্রতিবাদের স্বরূপই ম্যাচটা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন আইএফএ কর্তারা। এবং যার ফলে সেবারই লিগে দীপেন্দু বিশ্বাস সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। ও মোহনবাগান পরের বছরই কুমারেশকে দলে নিয়ে অবসর নেওয়ায়।
এই প্রসঙ্গে ময়দানের প্রাক্তন ফুটবলারটি বলেন, ‘ময়দানে গড়াপেটা একটা প্রচলিত প্রথা। কোনও কোনও কর্মকর্তার কাছে এটা জন্মগত অধিকারও বলা যেতে পারে। বহুকাল ধরে এটা চলে আসছে। কিন্তু তখন কোনও প্রতিবাদ হয়নি। এখন সর্বত্র প্রতিবাদ হচ্ছে। আগে কোনও ম্যাচে গড়াপেটা হত, ক্লাবের অবনমন রক্ষার জন্য, কিন্তু এখন ক্লাবের স্বার্থ নগন্য হয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে অর্থের বিষয়টি। ফলে এই কাণ্ডে জড়িতরা আরও বেশি করে কলুষিত করে তুলছে ফুটবলের পাশাপাশি ময়দানের পরিবেশকেও।’
এরপর এখানেই শেষ নয়, দুই প্রধানের প্রাক্তনী তাঁর দীপ্ত কণ্ঠে গটআপের প্রতিবাদের সুর চড়িয়ে বলেন, ‘ফুটবলটা আমার চয়েস। আমি জোড়পূর্বক ফুটবল খেলতে আসিনি। তার জন্য অনেক স্বার্থত্যাগ করতে হয়েছে। এবং ফুটবলও আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। কাজেই ফুটবলকে কেউ কেউ কুলষিত করবে আমার পক্ষে সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি এই বিষয়ে যখন প্রথম প্রতিবাদ করে মুখ খুলেছিলাম, তখন অনেকেই মজা দেখছিলেন। কিন্তু আজ সেই কাণ্ড নিয়েই হলুস্তুল কলকাতার ফুটবল মহলে। ভাল লাগছে, অবশ্যই। পুলিশ কর্তাদের কাছে অনুরোধ করব, যে তিনজনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি এই গড়াপেটা কাণ্ডে আসল মাস্টার মাইন্ডদের পুলিশ সামনে নিয়ে আসুক। এবং দোষীদের অবশ্যই কড়া শাস্তি দেওয়া হোক। তাহলেই ফুটবল কুলষিত মুক্ত হবে। ’






