খেলা

অবসর ঘোষণা করলেন ভারতীয় মহিলা হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রানি রামপাল

Former Indian women's hockey team captain Rani Rampal has announced her retirement

Truth Of Bengal: ভারতীয় মহিলা হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রানি রামপাল, যিনি টোকিও অলিম্পিকে ভারতকে চতুর্থ স্থানে পৌঁছাতে সহায়তা করেছিলেন, ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পেশাদার খেলা থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। ২৯ বছর বয়সী এই ক্রীড়াবিদ ১৬ বছরের সফল ক্যারিয়ারের পরিশেষ ঘোষণা করলেন। রানি রামপাল সাধারণ পটভূমি থেকে উঠে এসে ভারতীয় হকির একটি আইকন হিসেবে পরিণত হয়েছেন।

রানি রামপাল ২৫০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ১০০টিরও বেশি গোল করেছেন।

একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এটি একটি অসাধারণ যাত্রা। আমি কখনো ভাবিনি যে আমি এত দীর্ঘ সময় ধরে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব। ছোটবেলায় আমি অনেক দারিদ্র্যের মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু দেশের জন্য কিছু করার চিন্তা সবসময় ছিল।”

রানি রামপাল সাব-জুনিয়র জাতীয় দলের কোচ হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার কিছুদিন পর অবসর ঘোষণা করার কথা সামনে এসেছে।

রানি রামপাল এর উজ্জ্বল ক্রীড়া ক্যারিয়ার

রানি রামপাল ২০০৮ সালে, মাত্র ১৪ বছর বয়সে অলিম্পিক কোয়ালিফায়ারসে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রবেশ করেন। সেই সময় তিনি ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী সবচেয়ে কম বয়সী হকি খেলোয়াড় ছিলেন। ১৫ বছর বয়সে, তিনি ২০১০ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি সাতটি গোল করে ভারতকে ১৯৭৮ সালের পর সেরা ফলাফল এনে দেন এবং বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে পৌঁছে দেন।

রানি রামপাল ক্যারিয়ারের বিভিন্ন পর্যায়ে ফরোয়ার্ড ও মিডফিল্ডার উভয় ভূমিকাতেই খেলেছেন। তিনি ২০১৭ সালের মহিলা এশিয়ান কাপে রূপালী পদক এবং ২০১৮ সালের এশিয়ান গেমসে, যেখানে তিনি ভারতের পতাকা বহন করেন, সেখানেও রূপালী পদক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

টোকিও ২০২০ অলিম্পিকে, তিনি ভারতীয় মহিলা হকি দলের নেতৃত্ব দেন এবং দলকে চতুর্থ স্থানে নিয়ে যান, যা তাদের সর্বোচ্চ অলিম্পিক ফলাফল।

রানি রামপাল এর অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য তাকে বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। ২০১৬ সালে তিনি অর্জুন পুরস্কার লাভ করেন, ২০২০ সালে মেজর ধ্যনচাঁদ খেলরত্ন এবং পদ্মশ্রী, ভারতের জাতীয় সম্মান লাভ করেন।

এছাড়া, রানি ২০১০ সালের মহিলা হকি বিশ্বকাপে “সেরা যুব খেলোয়াড়” এবং ২০১৩ সালের জুনিয়র বিশ্বকাপে “টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়” নির্বাচিত হন, যেখানে ভারত প্রথমবারের মতো ব্রোঞ্জ পদক জিতে।

রানি রামপাল এর অবসর ক্রীড়া জগতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং তার কৃতিত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

Related Articles