
The Truth of Bengal: মোহনবাগানকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে সুপার কাপের সেমিতে ইস্টবেঙ্গল। অদম্য লড়াই, নাছোড়বান্দা মনোভাব, নিখুঁত স্ট্র্যাটেজি আর বুকে একরাশ সাহস – তাতে ভর করে কলিঙ্গ সুপার কাপে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ৩-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। পৌঁছে গেল সুপার কাপের সেমিফাইনালে। আর আজকের জয়টা ইস্টবেঙ্গলের কাছে নিছকই একটা কলকাতা ডার্বি জয় নয়, এই জয়টা পুরো দুনিয়ারকাছে ইস্টবেঙ্গলের একটা বার্তা – সময় খারাপ যেতে পারে, ফর্ম খারাপ যেতে পারে, কিন্তু লাল-হলুদ মশাল কখনও পুরোপুরি নিভে যায় না। সেটা বুকের মধ্যে জ্বলে। আগুনের একটু শিখা পড়লেই সেটা আবার দাউদাউ করে জ্বলে উঠবে। আর সেই আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যাবে বিপক্ষ দল। আর সেই আগুনের শিখা হিসেবে যে কার্লেস কুয়াদ্রাত কাজ করেছেন, সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
শেষপর্যন্ত সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। জোড়া গোল করলে ক্লেইটন সিলভা। এছাড়া একটি গোল করেন নন্দকুমার শেখর। বাগানের হয়ে একমাত্র গোল করেন হেক্টর। নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে পেত্রাতোসের একটি গোল বাতিল করে দেন রেফারি। ৭৮ মিনিটে- সাদিকু, হ্যামিলকে তুলে সুহেল ভাট ও সুমিত রাঠিকে নামাল মোহনবাগান। অন্য দিকে, সিভেরিওর পরিবর্তে বিষ্ণুকে নামাল ইস্টবেঙ্গল। ৬৩ মিনিটে লিড নিল ইস্টবেঙ্গল। গোলকিপার প্রভসুখন গিলের লম্বা বল। সিভেরিও হেড করেও পাননি। মোহনবাগানের রবি রানার সঙ্গে বল দখলে জেতেন বোরহা। তাঁর শট পোস্টে লাগে।
ফিরতি বলে গোল নন্দকুমারেরর। টানা আটটি ডার্বি হারের পর ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে নন্দকুমারের গোলেই জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। আরও এক বার ডার্বিতে গোল করে নায়ক নন্দ। ৮০ মিনিট জোড়া গোল করলেন ক্লেইটন সিলভা । ৩-১ গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। এই পরিস্থিতিতে মোহনবাগানের কামব্যাক যথেষ্ট মুশকিল বলেই মনে হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান ডার্বির আগের দিন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, দাপট দেখিয়েই জয় পাবে ইস্টবেঙ্গল। তেমনই হল! এই জয়ের ফলে মুখে হাসি ফুটল লাল-হলুদ সমর্থকদের। সুপার কাপের সেমিফাইনালেও জয় পাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ টিম ইস্টবেঙ্গল।