
The Truth of Bengal: রাজ্যপাল কী করতে চাইছেন,কী উদ্দেশ্য রয়েছে,তাঁর মোটিভ কী? এই প্রশ্ন সাম্প্রতিক সময়ে বড় করে উঠতে শুরু করেছে।কারণ বারবার রাজ্যপাল-রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন। পরম্পরাকে মান্যতা না দিয়ে তিনি কেন্দ্রের শাসকদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন, সুর চড়িয়ে এই অভিযোগই জোরালো করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কয়েকমাসের ঘটনাক্রম দেখলে বোঝা যাবে, প্রথাগত বাউন্ডারির বাইরে বেরোতে রাজ্যপাল যেন একটু চালিয়ে খেলছেন। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। তারপর উপাচার্যদের সঙ্গে এক্তিয়ার বর্হিভূতভাবে হিসেব তলবে বিতর্কের তুফান ওঠে।
শুক্রবার রাজ্যপাল মালদায় যান। মিজোরামে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাংলার মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গৌড়বঙ্গে ছুটে যান। পরিবারের পাশে থাকার কথা জানান তিনি। রেল কর্তৃপক্ষ যাতে মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সেকথাও বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার দুপুরে কলকাতা থেকে সুপারফাস্ট ট্রেনে করে মালদা টাউন স্টেশনে আসেন রাজ্যপাল। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েই মিজোরামে মৃত মালদার শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পুখুরিয়া থানার কোকলামারি চৌদুয়ারী এলাকায় যান রাজ্যপাল। সেখানে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল প্রথমেই একটি বাংলায় মৃত শ্রমিকদের প্রতি শোকবার্তা পড়ে শোনান। এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, একসঙ্গে এতজন শ্রমিকের মৃত্যুতে সম্পূর্ণভাবে মর্মাহত তিনি।
তবে রাজ্যপালের বারংবার রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরোনোর পর পিসরুম খোলা বা বাদল অধিবেশনের ফাইল ফেরত পাঠিয়ে রাজ্যপাল আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ।আর শুক্রবার তিনি যাদবপুরের Ragging রুখতে ইসরোর চেয়ারম্যানকে ফোন করে সাড়া ফেলার চেষ্টা করেন।প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষাঙ্গনে ব়্যাগিং বন্ধ করার কোনও উপায় রয়েছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, প্রযুক্তির সাহায্যে র্যাগিং রুখতে হায়দরাবাদের অ্যাডরিন সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।