যে মন্দিরে বিগ্রহ নয় পুজো করা হয় রয়্যাল এনফিল্ড বাইকের, কোথায় আছে এমন মন্দির?
Royal Enfield bike

Truth of Bengal,Mou Basu: ধর্মীয় স্থান মন্দিরে সাধারণত আমরা বিগ্রহের পুজো করে থাকি। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানের সঙ্গে নানান আচারবিধিও জড়িয়ে থাকে। কিন্তু এই ভারতে আছে এমনই এক মন্দির যেখানে কোনো বিগ্রহের পুজো করা হয় না। বদলে পুজো করা হয় রয়্যাল এনফিল্ড মোটরবাইকের। অভিনব এমন মন্দির রয়েছে মরুরাজ্য রাজস্থানে। নাম তার ‘বুলেট বাবা মন্দির’। শুধু রাজস্থানই নয় গোটা ভারত থেকেই বাইকপ্রেমীরা নিজেদের সুরক্ষা, সুস্বাস্থ্য ও সুখ কামনায় এই বুলেট বাবার মন্দিরে এসে পুজো দেন।
আহমেদাবাদ ও যোধপুরের মধ্যে সংযোগকারী ৬২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর পালি টাউন থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ও যোধপুর শহর থেকে ৫৩ কিলোমিটার দূরে চোটিলা গ্রামে রয়েছে এই বুলেট বাবার মন্দির। এই মন্দিরের আরেক নাম ‘ওম বান্না মন্দির’। মন্দিরে বিগ্রহ হিসাবে পূজিত হয় RNJ 7773 রেজিষ্ট্রেশন নম্বরধারী একটি ৩৫০ সিসি রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট মোটরবাইক। বুলেট বাবার মন্দিরে বাইকপ্রেমীদের পাশাপাশি কমবয়সী মহিলারা তাঁদের স্বামীর মঙ্গল কামনায় পুজো দিতে আসেন। নিজেদের মনস্কামনা জানিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি গাছের গুঁড়িতে লাল সুতো বাঁধেন পুণ্যার্থীরা।
কিন্তু হঠাৎ মন্দিরের এমন অদ্ভুত নাম কী করে হল? কেনই বা বাইককে বিগ্রহ হিসাবে পুজো করা হয়?
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রয়্যাল এনফিল্ড মোটরবাইকটির মালিক ছিলেন ওম সিং রাঠোর নামে এক যুবক। ১৯৮৮ সালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। যেখানে আজ মন্দিরটি দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই ঘটেছিল প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পর পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাইকটিকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে থানায় রাখে। আশ্চর্যজনক ভাবে পরদিন বাইকের খোঁজ থানায় নয় দুর্ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়। পুলিশ প্রথমে বাইকটিকে ফের নিজেদের হেফাজতে থানায় নিয়ে গিয়ে রাখে। কিন্তু একই জিনিস হতে থাকে পরপর ক’দিন। বাইকটি রহস্যজনক ভাবে থানা থেকে উধাও হয়ে যেতে থাকে। প্রতিবারই সেটির খোঁজ মেলে দুর্ঘটনাস্থলে। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ৬২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বুলেট বাবার মন্দির গড়ার সিদ্ধান্ত নেন।