সাইকেল সফরের মাধ্যমে জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষার বার্তা কলেজ পড়ুয়াদের
Protect the Dignity of the National Flag

The Truth of Bengal: লৌহকঠিন মানসিকতা আর ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে সাতচল্লিশে আসে দেশের মুক্তি। দেশ ৭৫বছরের ওপর স্বাধীনতা পেয়েছে।জাতীয় পতাকা আমাদের কাছে গৌরবের শিখরে পৌঁছে গেছে। মহাকাশের মহাশূন্যে উঠেছে ৩ বর্ণের জাতীয় পতাকা। যার মর্যাদা বা গৌরব রক্ষা করা প্রতিটা ভারতবাসীর দায়িত্ব। তবে এখনও অনেকে ঘটা করে স্বাধীনতা দিবস পালন করলেও জাতীয় দিবসের পর আর তার প্রতি সম্মান রাখার প্রয়োজন বোধ করেন না।
অযত্নে পড়ে থাকা সেই পতাকাগুলিকে উদ্ধার করে সযত্নে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন বাসন্তীর তিন কলেজ পড়ুয়া।সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা বাসন্তীর উত্তর ভাঙনখালি গ্রামের বাসিন্দা সুজাউদ্দিন লস্কর প্রথম এই স্বদেশের গৌরব রক্ষার পথে এগিয়ে আসেন। তাঁকে সহযোগিতা করেন, তাঁর দুই বন্ধু সোনারপুর মহাবিদ্যালিয়ের নাসিরুল মোল্লা ও গোসাবার হাজি দেশারথ কলেজের জামাল সর্দার। স্বাধীনতা দিবসের পরদিনেই বাসন্তী থেকে সাইকেলে চেপে স্বদেশপ্রেমের আবেগভরা সফর শুরু করেন।
বাসন্তী থেকে দক্ষিন কলকাতার বাঘাযতীন পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তা তাঁরা সাইকেলে অতিক্রম করেন। যাত্রাপথে রাস্তার আনাচেকানাচে পড়ে থাকা জাতীয় পতাকাগুলিকে তুলে নেন তাঁরা। স্থানীয় মানুষকে পতাকার মর্যাদা রক্ষার বিষয়ে সচেতনও করেন সুজাউদ্দিনরা। পথচলতি অনেকে তাঁদের সঙ্গে কাজে হাত লাগান। তাঁদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন ক্যানিংয়ের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস, ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উত্তম দাস, বিডিও ক্যানিং ১ শুভঙ্কর দাস তাঁদেরকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন।