চাঁদের বুকে প্রথম সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য লেন্সবন্দী করল ব্লু ঘোস্ট ল্যান্ডার
Blue Ghost Lander captures first beautiful sunrise on the moon

Truth of Bengal: মার্চ ২ তারিখে চাঁদের মারে ক্রিসিয়াম অঞ্চলে অবতরণ করা ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের ব্লু ঘোস্ট ল্যান্ডার চাঁদের বুকে প্রথম সুন্দর সূর্যোদয়ের ছবি তুলেছে।
সোমবার ফায়ারফ্লাই তাদের এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে এই ছবি প্রকাশ করে। ছবিতে দেখা যায়, সূর্যের উজ্জ্বল রশ্মি ছড়িয়ে পড়েছে, আর অসমতল চন্দ্রপৃষ্ঠের গভীর গর্তগুলো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
ফায়ারফ্লাই তাদের পোস্টে লিখেছে—
“উঠে দাঁড়াও এবং আলো ছড়িয়ে দাও! ফায়ারফ্লাইয়ের #BlueGhost ল্যান্ডার চাঁদে তার প্রথম সূর্যোদয়ের ছবি ধারণ করেছে। এটি চাঁদের নতুন দিনের সূচনা এবং আমাদের ল্যান্ডারের কার্যক্রম শুরুর প্রতীক। আমাদের #GhostRiders ইতোমধ্যে ল্যান্ডারে থাকা ১০টি @Nasa পেলোড পরিচালনা শুরু করেছে এবং আগামী দুই সপ্তাহ ধরে এই কাজ চলবে, এমনকি চন্দ্ররাত্রিতেও।”
Rise and shine! Firefly’s #BlueGhost lander captured its first sunrise on the Moon, marking the beginning of the lunar day and the start of surface operations in its new home. Our #GhostRiders have already begun operating many of the 10 @NASA payloads aboard the lander and will… pic.twitter.com/YI9nuFZfmk
— Firefly Aerospace (@Firefly_Space) March 3, 2025
ব্লু ঘোস্ট মিশনের যাত্রা
চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে ব্লু ঘোস্ট ল্যান্ডার উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রায় এক মাস পৃথিবীর কক্ষপথে থাকার পর এটি চাঁদের দিকে যাত্রা করে। চাঁদের কক্ষপথে ১৬ দিন কাটিয়ে ল্যান্ডার সফলভাবে অবতরণ করে মন্স লাত্রেইল নামক প্রাচীন আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য আদর্শ স্থান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পরীক্ষা
ব্লু ঘোস্ট ল্যান্ডারে নাসার ১০টি পেলোড রয়েছে, যা Commercial Lunar Payload Services (CLPS) প্রোগ্রামের অংশ। এই মিশনের লক্ষ্য চাঁদের পরিবেশ সম্পর্কে আরও গভীরভাবে বোঝা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন পরীক্ষা চালানো।
ল্যান্ডারটি প্রায় ১৪ দিন (একটি চন্দ্রদিন) সক্রিয় থাকবে, যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হলো লুনার হরাইজন গ্লো (চন্দ্র দিগন্তের আলোকচ্ছটা) পর্যবেক্ষণ। শেষবার এটি ৫০ বছর আগে অ্যাপোলো মিশনের সময় দেখা গিয়েছিল।
ব্লু ঘোস্ট মিশন সফল হলে ভবিষ্যতে চাঁদে আরও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।