
The Truth of Bengal,Mou Basu: স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ঝকঝকে চুল পাওয়ার বাসনা সবারই থাকে। প্রাকৃতিক ভাবে চুল ভালো রাখতে হাত বাড়ান ডিমের দিকে। ডিমকে চুল ও ত্বকের জন্য বলা যায় ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু’। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বয়স ধরে রাখার জন্য আর ব্রণ, ফুসকুড়ি রোধ করতে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রচুর খনিজ পদার্থে ভরপুর ডিম শুধু ত্বককে পুষ্টি জোগায় না চুলকেও স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য দারুণ উপকারী। দারুণ পুষ্টিকর ডিম ভিটামিন এ, কে, বি কমপ্লেক্স, ডি আর ই-তে সমৃদ্ধ।তাই ডিম চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যোকর। ভিটামিন এ চুলের বৃদ্ধি ঘটায়, চুল পড়া আটকায়। ভিটামিন কে চুল পড়া আটকায় যেমন তেমনই চুলের অকাল পক্কতা রোধ করে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শুষ্ক চুলের ফেটে যাওয়া আটকায়। চুল পাতলা হওয়া আটকায় ডিমে থাকা নায়াসিন বা ভিটামিন বি৩। ভিটামিন ই থাকে বলে ডিম মাখলে চুল নরম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়। এছাড়া ডিমে পাওয়া যায় সেলেনিয়াম, সালফার, দস্তা, লোহা, তামার মতো খনিজ পদার্থ যা চুলের বৃদ্ধি ঘটায় ও চুল পড়া আটকায়।
ঝকঝকে চুল পেতে তাই ডিমের সাদা অংশ দিয়ে তৈরি নানান ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন—
• চুলের জন্য ডিমের নারিশিং মাস্ক
উপকরণ: ডিম (১), পাকা কলা (১টা চটকানো), মধু (৩ টেবিল চামচ), দুধ (৩ টেবিল চামচ), অলিভ অয়েল (৫ টেবিল চামচ) ব্রাশ (১টা)
সব উপকরণ একসঙ্গে একটা বাটিতে মিশিয়ে নিন। ভালো করে ফেটিয়ে নিন। মিশ্রণ চুলে ও মাথার তালুতে ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে এক ঘণ্টা মতো রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন করে করুন।
• হেল্থ বুস্টিং মাস্ক
উপকরণ: একটা ডিম, ২ চামচ মধু, ২ চামচ দই
সব উপকরণ একসঙ্গে একটা বাটিতে মিশিয়ে ও ফেটিয়ে নিন। ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে নিন চুলে ও মাথার তালুতে। ঘণ্টা খানেক রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। ভালো করে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।
• ময়েশ্চারাইজার মাস্ক
উপকরণ: একটা ডিম, ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস
সব উপকরণ একসঙ্গে একটা বাটিতে মিশিয়ে নিন। ধীরে ধীরে চুলে ও মাথার তালুতে ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে নিন মিশ্রণটি। ঘণ্টা দুয়েক রাখার পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
• ফ্রিজ-ফ্রি মাস্ক
উপকরণ: ২টো ডিম, এক চামচ মেয়োনিজ
সব উপকরণ একসঙ্গে একটা বাটিতে মিশিয়ে ও ফেটিয়ে নিন। ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে নিন চুলে, চুলের গোড়ায় ও মাথার তালুতে। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।