কেন মোদির উত্তরবঙ্গ সফরে পেলেন না ডাক? জানালেন দিলীপ
Why didn't I get an invitation for Modi's North Bengal visit? Dilip reveals

Truth Of Bengal: প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির উত্তরবঙ্গ সফরে ডাক না পাওয়া প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কি বললেন তিনি? প্রাক্তন সাংসদের বক্তব্য, যেহেতু এই কর্মসূচির উত্তরবঙ্গের, তাই সেখানকার কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। তবে এর সঙ্গে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দেন যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি যদি কলকাতার হয়, তাহলে নিশ্চয়ই তিনি সেখানে থাকবেন দলের সঙ্গে। যদিও এমনটা পুরোপুরি সত্যি বলে মনে করছেনা রাজনৈতিক মহল।
বৃহস্পতিবার, ২৯শে মে, আলিপুরদুয়াররে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে। সেখানে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সভাকে ঘিরে দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থকদের আগ্রহ একেবারে আকাশ ছুঁয়েছে। সকলেই অপেক্ষায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে দেখার এবং তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য। মনে করা হচ্ছে আজকের সভায় ভিড় উপচে পড়বে। কোনরকমের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে এই সভা নিয়ে যখন চারিদিকে হইচই পড়ে গেছে, তেমনি অন্যদিকে বঙ্গ বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাক না পাওয়া জন্ম দিয়েছে একাধিক প্রশ্নের। গেরুয়া শিবিরের একাংশ মনে করছেন যে দলের সঙ্গে হয়তো দূরত্ব দিনদিন বাড়ছে দিলীপ ঘোষের। আবার আরেকাংশ মনে করছেন এমনটা নাও হতে পারে এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি একটা বড় দায়িত্ব পেতে পারেন। তবে, দিলীপ ঘোষের এই সভায় ডাক না পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন তাঁর অনুগামীরা।
এবার এই প্রসঙ্গে নিজের মুখ খুললেন খোদ দিলীপ ঘোষ। এদিন সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রতিদিনের মতো প্রাতঃভ্রমণে আসেন তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের অবস্থান জানান। তিনি বলেন, “ওখানকার কর্মীরা থাকবেন কর্মসূচিতে। যখন কলকাতায় আসবেন, তখন আমি থাকবো। যারা কোন পদে রয়েছেন, তাঁদের থাকতে হয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। আমি সাধারণ কর্মী। কোন পদে নেই। এখানে যখন আসবেন, তখন আমি যাবো।”
এরপরই দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয় যে তাঁর দলের নেতারা তাঁকে দল থেকে সরাতে চাইছেন কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এতে কিছু যায় আসেনা। দল যেই দায়িত্ব আমায় দিয়েছে, তা আমি মন দিয়ে পালন করছি। গোটা দেশে কমিটি তৈরি হচ্ছে। কে কি দায়িত্ব পায়, সেই অনুযায়ী কাজ হবে। আবার দল যদি আমাকে দায়িত্ব দেয়, তাহলে নিশ্চয়ই তা পালন করবো।” প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এমন উত্তর দিলেও রাজনৈতিক মহল তা পুরোপুরি সত্যি বলে মনে করছেনা। অনেকে মনে করছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে, দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে যাওয়ায় দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছে। এবার দেখার বিষয় যে এই বিষয়টি কোথায় গিয়ে থামে।