
The Truth of Bengal: বারাণসীর দশ্বামেধঘাটের মতোই কলকাতাতেও আয়োজন করা হচ্ছে গঙ্গারতীর। ভক্তিমার্গের সেই ভাবগম্ভীর পরিবেশ চাক্ষুষ করতে এবার আসছেন বিদেশী পর্যটকরাও।প্রায় ৬৪জন পর্যটক আসবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ তারক সিং। গঙ্গা বন্দনায় সামিল হওয়ার পাশাপাশি তাঁরা তিলোত্তমার অন্যান্য স্থানেও যেতে পারেন। সেজন্য বিশেষ বাসেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ধর্মীয় পর্যটনের হাত ধরে এওয়ান সিটির দরজা আরও খুলে যাবে বলে আশা অনেকের। সূর্য ডোবার অপেক্ষা। তারপরই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। আঁধার নামতেই গঙ্গার ঘাটে ভক্ত সমাগমের মাঝে জ্বলে ওঠে প্রদীপ। তারপর গঙ্গামায়ের উদ্দেশ্যে চলে আরতি। বারাণসীর মতোই এই দৃশ্য এখন কলকাতাতেও দেখা যায়। হিন্দুধর্মে পুজোয় আরতি হল অবিচ্ছেদ্য। আরতি ছাড়া কোনও দেব-দেবীর পুজো সম্পূর্ণ হয় না। সংস্কৃতে ‘আরতি’ শব্দের অর্থ হল ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ প্রেম। সংস্কৃত শব্দ আরতিকা থেকে এসেছে আরতি। অন্যদিকে, আরতিকে ‘নিরাজন’ বলা হয়।
এর অর্থ কোনও একটা জায়গাকে আলোকিত করে তোলা। এখন তিলোত্তমার গঙ্গার পারের আরতি আলাদা সাংস্কৃতিক গৌরব বাড়িয়েছে। আগামীতে কী কলকাতা বারাণসীকে টেক্কা দেবে ? দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে এই গঙ্গারতির গৌরব গাথা পৌঁছে যাওয়ায় তীর্থপর্যটনে জোয়ার আসার সম্ভাবনা দেখছেন প্রশাসনের কর্তারা।এবার শহরে আসছেন প্রায় ৬৪জন পর্যটক।বিদেশ থেকে আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য সুব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।রাখা হয়েছে বিশেষ বাসও। কলকাতায় বিশ্বমানের গঙ্গা আরতির ব্যবস্থার ফলে যেমন ভক্ত সমাগম বাড়ছে তেমনই স্পেশাল বাস পরিষেবাও চালু রাখা হচ্ছে।
দেশ-বিদেশের অতিথিদের জন্য থাকবে বিশেষ ভোগ। ১৪-১৫ তারিখ মকর সংক্রান্তিতে হবে ভোগ।থাকবে গঙ্গাঘটের নিরাপত্তা নজরদারি। রিভার পুলিশ থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।যাতে কোনও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২০২৩ সালে মার্চ মাসে শুরু হয় বাজা কদমতলা ঘাটে আরতি। গঙ্গা বন্দনার এই বিশেষ ব্যবস্থার দায়িত্বে কলকাতা পুরসভা। বারাণসী, হরিদ্বারের আদলে শীতকালে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এবং গরমকালে সন্ধ্যা ৭টার সময় হয় গঙ্গা আরতি।এখন সেই গঙ্গাবন্দনায় বিদেশীরাও সামিল হলে তা বিশ্বমাণের মর্যাদা লাভ করবে বলা যায়।