
The Truth of Bengal: কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড সাক্ষী থাকলো, লক্ষ্য কন্ঠে গীতা পাঠ আয়োজনের। ধর্মীয় সংগঠনের তরফ থেকে এই গীতা পাঠের আয়োজন করা হলেও পেছন থেকে পরিচালনার দায়িত্বে ছিল বঙ্গ বিজেপি। মূল মঞ্চে ছিলেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য দয়ানন্দ সরস্বতী, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি, সহ বিশিষ্ট সাধু সন্তরা। শ্রীমদ্ভগবদ গীতার পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করা হয়। 24 শে লোকসভা নির্বাচনের আগে ২৪ শে ডিসেম্বর এই গীতা পাঠের আয়োজন করে রাজ্য বিজেপি হিন্দুত্ববাদী ভাবধারাকে চাঙ্গা করতে চাইছে। আগামী বছরে জানুয়ারি মাসে রাম মন্দিরের উদ্বোধন তার আগে কলকাতার এই গীতা পাঠ বঙ্গ বিজেপির এক অন্য কৌশল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। মূল মঞ্চের একদম সামনের সারিতে ছিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বদের বসার আসন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে বিজেপির আরো অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে। গীতা পাঠের অনুষ্ঠানকে যতই ধর্মীয় সংগঠনের উদ্যোগ বলে দাবি করলেও বঙ্গ বিজেপি যে সরাসরি যোগ তা কার্যত স্পষ্ট বলেই মত ওয়াকিবহল মহলে। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ব্যরিকেট করে মোট কুড়িটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিভাগে পাঁচ হাজার জন করে মানুষ বসার ব্যবস্থা করা হয়।
এই গীতা পার্টির আসরে প্রধানমন্ত্রীর আসার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট কারণে তিনি উপস্থিত হননি। অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এদিনের এই আয়োজনে প্রধান মুখ ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার না আসায়, লোক সমাবেশ কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অনুষ্ঠান শেষে আবারো একবার সেই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতার এই গীতা পাঠের অনুষ্ঠানকে ঘিরে তরজা শুরু বঙ্গ রাজনীতিতে।