কলকাতা

Parno Mitra: বরানগরে দলবদলের অঙ্ক, রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা

রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাত ধরে শাসকদলে যোগ দেন পার্নো। তৃণমূলের অন্দরমহলে এই যোগদানকে ‘স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রবাহ’ বলেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

Truth of Bengal: বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রকে ঘিরে ফের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের ছবি স্পষ্ট। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজে#ParnoMitraপির প্রার্থী ছিলেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল তাঁকে। ঘটনাচক্রে, সেই তাপস রায় বর্তমানে বিজেপির শিবিরে, আর এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন পার্নো মিত্র। এই অদলবদল ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাত ধরে শাসকদলে যোগ দেন পার্নো। তৃণমূলের অন্দরমহলে এই যোগদানকে ‘স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রবাহ’ বলেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তবে বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষে মুখর। দলবদলের এই অঙ্ক কষতে গিয়ে বরানগরের সাধারণ মানুষও বিভ্রান্ত।

স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, ঘনঘন দলবদলের ফলে রাজনীতির দিকনির্দেশই স্পষ্ট নয়। কারও কারও মন্তব্য, ‘ফুল বদলাতে বদলাতে ভোটটাই কোথায় যাচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।’রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, তাপস রায়ের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। কিন্তু পার্নো মিত্রকে তৃণমূলে এনে দল আদৌ কী রাজনৈতিক লাভ করবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অনেকের মতে, শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ভোট নিয়েই যেন রাজনৈতিক ছেলেখেলা চলছে।তবে পার্নো মিত্র নিজে বিষয়টিকে আলাদা ভাবে দেখছেন। তাঁর বক্তব্য, প্রার্থী হবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত তাঁর হাতে নেই। আগের বারও ছিল না। দল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অভিনেত্রীর কথায়, “আমি কোনও কিছুর জন্য মুখিয়ে নেই। যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আমি শুধু কাজ করতে চাই।”সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পার্নো মিত্রের এই দলবদল এবং ভবিষ্যতে তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। বাংলার রাজনীতিতে ‘কে কোথায়’—এই সমীকরণ যে এখনও অস্থির, পার্নো মিত্রের তৃণমূলে যোগদান সেই ছবিটাকেই আরও স্পষ্ট করে তুলল।

Related Articles