বাংলাদেশের সাংসদকে খুনে সামনে এল নয়া তথ্য, ৫ কোটি ‘সুপারি’ ও ‘টোপ’ হিসেবে সুন্দরী মহিলা ব্যবহার
New information has come to light in the murder of a Bangladeshi MP

The Truth of Bengal: ৫ কোটি ‘সুপারি’ দিয়ে খুন করা হয় আনোয়ারুল আজিমকে। বাংলাদেশের সাংসদকে খুনে এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আখতারুজ্জামান শাহিন নাম এক ব্যক্তি এই সুপারি দেয়। বাংলাদেশের কুখ্যাত সুপারি কিলার আমানুল্লাহকে পাঁচ কোটি সুপারি দেয় শাহিন। জানা গিয়েছে, আখতারুজ্জামান শাহিন নিহির সাংসদের বন্ধু। এই খুনে শাহিন ‘টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করে নিজের সুন্দরী বান্ধবী শিলাস্তি রহমান নামে এক বান্ধবীকে।
পরিকল্পনা করে আজিমকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসা হয়। সেখানে গত ১৩ মে বিকেল চারটে নাগাদ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ওই সাংসদকে। সুপারি দেওয়া আখতারুজ্জামান শাহিনের নির্দেশে সাংসদ আনোয়ারুল আজিম দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। পরিকল্পনা ছিল একাধিক ভাগে সেই দেহাংশ সরিয়ে ফেলার। আগেই যারা বাংলাদেশে গ্রেফতার হয়েছে তাদের জেরা করে এই তথ্য জানতে পেরেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তদন্তকারী সিআইডি এই তথ্য জেনেছে বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকে।
জানা যাচ্ছে, সাংসদ খুনের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান ওই কসাইকে দু’মাস আগে কলকাতায় নিয়ে আসে। তার পর বাংলাদেশের সাংসদকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। আগেই আখতারুজ্জামান জেরায় স্বীকার করেছে, নিউটাউনের ফ্ল্যাটে চারজন মিলে সাংসদকে খুন করে। সেখানেই তাঁর দেহ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর সেই দেহাংশ একাধিক বড় ব্যাগে ভরে কলকাতার একাধিক এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। কথায় কঠা সেই দেহাংশ ফেরা হয় এখন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারকে আজ বারাসত আদালতে তোলা হবে।
এদিকে, বাংলাদেশের সাংসদ খুনে সিআইদি গ্রেফতার করেছে এক কসাইকে। সাংসদকে খুনের পর সেই দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ধৃত কসাইয়ে নাম জিহাদ হাওলাদার। সে বাংলাদেশের নাগরিক। অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সেই মুম্বইয়ে বাস করত। ঘটনার তদন্তে ওই কসাইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।