কলকাতা

কবির সম্মানে আলিপুরে মুক্তমঞ্চ, গুরুদেবের সৃষ্টিকে সম্মান প্রদান

Muktamanch in Alipore in honor of the poet, honoring Gurudev's creation

The Truth of Bengal: আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কথা সারা দেশের মানুষ জানেন।কিন্তু জানেন কী এই আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন রবি ঠাকুর ?শোনা যায়,একসময় বিশ্বকবি শতাব্দীপ্রাচীন লাল রঙের বাড়িতে প্রায়শই আসতেন।কার কাছে জানেন,তিনি আসতেন প্রশান্তচন্দ্র মহলনবিশের কাছে। প্রায়শই কবি এখানে থাকতেন।সুন্দর প্রাকৃতিক রূপমাধুর্য দেখে কবিগুরু নাম দেন হাওয়া অফিস। কবিকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই হাওয়া অফিস চত্বরে তৈরি করা হল মুক্তমঞ্চ। হাওয়া অফিসের আনাচে- কানাচে লুকিয়ে থাকা অজানা ইতিহাস নিয়েই বাংলা জাগোর এই বিশেষ প্রতিবেদন।

বরাবরই প্রকৃতিপ্রেমী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে অসম্ভব সুন্দর সৌন্দর্য দেখলেই কবি তা তাঁর    লেখনীতে তুলে ধরতেন।আর তাঁর  রবীন্দ্রনাথের  সৃষ্টির দুনিয়ায় বরাবরই জায়গা পেয়েছে আলিপুর  আবহাওয়া দফতর।যারজন্য কবি এই আলিপুর আবহাওয়া দফতরকে হাওয়া অফিস বলেই ডাকতেন।আর এই হাওয়া অফিসে এলে কবির অন্যরকম কিছু সৃষ্টির উত্সাহ বেড়ে যেত।তাই কবিকে শ্রদ্ধাও সম্মান জানাতে আলিপুরে তৈরি করা হয়েছে মুক্তমঞ্চ। শতাব্দীপ্রাচীন লাল বাড়িতে একসময় থাকতেন প্রশান্তচন্দ্র মহলনবিশ।এই লালবাড়িতে আসতেন কবি।কিন্তু কেন জানেন,কারণ প্রশান্তচন্দ্র মহলনবিশের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের আলাদা দহরম- মহরম ছিল।শোনা যায়,প্রশান্ত মহলনবিশের সঙ্গে কবির আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল।সৃষ্টির নানা স্মৃতি বয়ে বেড়ানো এই অফিস চত্বরেই রয়েছে,.প্রাচীন বটগাছ।কথিত আছে এই বটবৃক্ষের নীচেই নাকি কবি নানা লেখনী উপহার দেন,এমনকি নাটকও লেখেন।যার মধ্যে অন্যতম রক্ত করবী।তাই সেই কবিকে শ্রদ্ধাও সম্মান জানাতে এগিয়ে এল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।হাওয়া অফিস চত্বরে তৈরি করা হয়েছে মু্ক্তমঞ্চ।

বর্তমানে আলিপুর আবহাওয়া দফতর কর্তৃপক্ষ বটবৃক্ষটির সামনে একটি মঞ্চ গড়েছে, নাম দেওয়া হয়েছে মুক্তধারা মুক্তমঞ্চ। শুধু তাই নয়, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বটগাছের অংশটিকেও বাঁধানো হয়েছে। আগামী প্রজন্মের কাছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর এবং রবীন্দ্রনাথের নিবিড় সম্পর্কের  বিষয়টি তুলে ধরতেই বটবৃক্ষ-সহ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কিছুটা অংশ রূপায়ণ করা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরে এলে দেখা যাবে, এই মুক্তধারা মুক্তমঞ্চকে বাঁধানোর পাশাপাশি চারিদিকে রবি ঠাকুরের নানান ঐতিহ্যশালী কীর্তিকে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বকবির স্মৃতিধন্য এই জায়গাকে আলাদা মর্যাদা দেওয়ার যে কাজ শুরু হল তা ভবিষ্যত প্রজন্মকে সমৃদ্ধ করবে বলে আশা অনেকের।

Related Articles