
The Truth of Bengal: আকাশে ভাসমান মেঘ জানান দিচ্ছে বর্ষা এসে গেছে,তাই বৃষ্টি–বাদলের কথা মাথায় রেখে প্লাস্টিকে মুড়ে চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। রীতি মেনে রথের দিনেই শুরু হয়েছে কাঠামো পুজো। পরম্পরা মেনে ঠাকুর তৈরির তোড়জোড় চলছে। তাই পটুয়া পাড়াতেও সাজো সাজো রব পড়ে গেছে। বাঙালির প্রাণের উত্সবের ঢাকে কাঠি পড়তে আর ৭৯দিন বাকি। শুরু হয়ে গেছে কাউন্টডাউন। এখন খড়, মাটি, বাঁশ দিয়ে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। চিরাচরিত ঐতিহ্যকে বজায় রাখার জন্য শিল্পীদের আন্তরিকতায় কোনও খামতি নেই।দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে।
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরেটিজের তকমা পেয়েছে দুর্গোত্সব।বাঙালির একান্ত আপন পুজো বাংলার অঙ্গন ছেড়ে বিশ্ব আঙিনায় শোভা বাড়াচ্ছে। উত্সবের অনাবিল আনন্দের লহর এখন ছড়িয়ে পড়া সময়ের অপেক্ষা। কেমন চলছে, পুজোর প্রস্তুতি,তা জানতে আমরা প্রতিমা তৈরির আঁতুরঘরে চলে যাই। দেখা যায় কালীঘাটের পটুয়াপাড়া এখন ব্যস্ততায় মুখর। তবে বিশ্বকর্মা পুজোর পর এই ব্যস্ততায় আলাদা মাত্রা যোগ হবে। শিল্পীরা নাওয়া খাওয়া ভুলে কাঠামোর মাটির প্রলেপ দিচ্ছেন। কারুকার্যে অভিনবত্ব আনাই একমাত্র লক্ষ্য তাঁদের।
কারণ এখন শিল্পকর্মে র জগতে শিল্পীর সংখ্যা বেড়েছে। দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা উপহার দেওয়াই তাঁদের সাধনার সাফল্য বলেও শি্ল্পীরা মনে করেন। প্রতিমা তৈরির প্রধান উপকরণ মাটি, বাঁশ, খড়, পেরেক, দড়ি, রং, তুলি সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে কয়েক গুন। মন্ডপ তৈরির উপকরণের ও দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। অত্যধিক মূল্য বৃদ্ধিতে বড় পুজো করা এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্যোক্তা দের কাছে। মৃত শিল্পীদের দাবি আগের থেকে অনেক দাম বৃদ্ধিতে প্রতিমার দামও এবার অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে কলকাতার মতোই নদিয়ার শিল্পীরাও জানাচ্ছেন।