মেট্রোর পুরনো লাইনে বদল, অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহারে কমবে বিদ্যুৎ খরচ
Change to old metro line, use of aluminum will reduce electricity consumption
The Truth Of Bengal: অন্যান্য দেশের মতো এবার কলকাতাতেও ফিরতে চলেছে লাইনে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার। মেট্রো চলাচলের জন্য দু’টি লাইনের সমান্তরালে যে তৃতীয় বিদ্যুৎবাহী লাইনটি থাকে, তা ইস্পাতের তৈরি হওয়ায় বিদ্যুৎ খরচ অত্যাধিক পরিমানে হয়। আগামী দিনে খরচ কমাতে তাই ইস্পাতের পরিবর্তে মেট্রোর তৃতীয় লাইনে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তাতে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটা বাঁচবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই কাজ শেষ হলে সিঙ্গাপুর, লন্ডন, মস্কো, বার্লিন, মিউনিখ, ইস্তানবুলের মেট্রো পরিষেবার পর্যায়ে পৌঁছবে কলকাতা মেট্রোও।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই কাজ শেষ হলে সিঙ্গাপুর, লন্ডন, মস্কো, বার্লিন, মিউনিখ, ইস্তানবুলের মেট্রো পরিষেবার পর্যায়ে পৌঁছবে কলকাতা মেট্রোও।কারণ, ওই সকল শহরে অ্যালুমিনিয়ামের বিদ্যুৎবাহী লাইন বসানোর কাজ হয়েছে।নোয়াপাড়া স্টেশনেও অ্যালুমিনিয়ামের বিদ্যুৎবাহী লাইন বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী দু’বছরের মধ্যেই ব্লু লাইনে অ্যালুমিনিয়ামের লাইন বসানোর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যে সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে , ইতিমধ্যেই সেই সংস্থাটি বিশ্বের বড় বড় ২০টি শহরে মেট্রোর লাইন বসানোর কাজ সেরে ফেলেছে বলে জানা যাচ্ছে। তাই কলকাতাতেও ঝড়ের গতিতে এই কাজ শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই একটি জার্মান সংস্থাকে এই কাজের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে মেট্রোর তরফে।
মেট্রো সূত্রে জানা গেছে, যে সময়ে এই লাইন বসানোর হয়েছিল, সেই সময়ে অ্যালুমিনিয়ামের বিদ্যুৎবাহী লাইন বসানোর প্রচলন না থাকার কারনে কলকাতার ব্লু লাইন পুরনো।কিন্তু বর্তমানে কলকাতা মেট্রোয় যখন ইস্ট-ওয়েস্ট গ্রিন লাইন কিংবা জোকা-তারাতলা পার্পল লাইন তৈরি হল, সেখানে বিদ্যুৎবাহী লাইনে অ্যালুমিনিয়ামই ব্যবহার করা হয়েছে।ইস্পাতের লাইন হওয়ায় মেট্রো চলার সময়ে রেকের সঙ্গে তার ঘর্ষণে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তাতে খরচ অনেক বেশি তবে অ্যালুমিনিয়ামের লাইন বসলে বিদ্যুৎ খরচে লাগাম টানা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।তার সাথে সাথে অন্তত ৫০ হাজার টন ক্ষতিকর কার্বন উৎপাদনও কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, অ্যালুমিনিয়ামের লাইন বসলে বিদ্যুৎ খরচ বাবদ বছরে প্রতি কিলোমিটারে এক কোটি টাকা যেমন বাঁচবে ঠিক তেমনই পরিষেবা আরও দ্রুত হবে।