
The Truth of Bengal: অতি সম্প্রতি রাজভবনের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, সেখানে একছত্র ক্ষমতার অধিকার দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, শিক্ষদফতরের নির্দেশিকা মানতেই হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই উপাচার্যদের। তারপরেই পাল্টা নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যপালের জারি করা বিজ্ঞপ্তি সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধ।রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত ধারাবাহিক রূপ নিয়েছে।
শিক্ষমন্ত্রী ব্রাত্য বসু একাধিকবার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, শিক্ষাদফতরকে গুরুত্ব না দিয়েই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যা কার্যত নজিরবিহীন। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ইতিমধ্যে রাজ্যসরকার শীর্ষ আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর রাজভবনের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয় রাজ্যের প্রত্যেকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। নির্দেশনামায় বলা হয়, রেজিস্ট্রার, সহ রেজিস্ট্রার পাশাপাশি বিশ্বিদ্যালয়ের আধিকারিকরা উপাচার্যের নির্দেশমতো চলবে। এবং শিক্ষাদফতর থেকে কোনও নিরেদশ এলে, তা মানা হবে কিনা, সেটা সম্পূর্ণ উপাচার্যের উপর বিবেচনাধীন।
এরপরেই এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কটাক্ষ, বর্তমান রাজ্যপাল জেমস বন্ডের মতোই নিঃশব্দ প্রহেলিকার মতো কাজ করে চলেছেন।তবে শিক্ষা দফতর যে এখানেই থেমে নেই, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষ দফতর। বলা হয়েছে, রাজভবনের জারি করা নির্দেশ কোনওভাবেই যেন কার্যকর করা না হয়। রাজভবনের বিশেষ সচিবের কাছেও শিক্ষদফতর থেকে চিঠির কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, যে নির্দেশিকা রাজ্যপাল দিয়েছে, তা জারি করা উচিত হয়নি।