কলকাতার খ্যাতির মুকুটে গৌরবের নতুন পালক
A new feather of glory in the crown of Calcutta's fame

Truth of Bengal: তিলোত্তমার খ্যাতির মুকুটে যুক্ত হল গৌরবের নতুন পালক। বিশ্বজোড়া সমীক্ষায় দেখা গেল ভ্রমণ ও অবসর সময় কাটানোর আদর্শ শহর কলকাতা। আন্তর্জাতিক স্তরে কলকাতার স্থান ১৯নম্বরে। দ্রুত উন্নয়নশীল শহরের তালিকায় সিটি অব জয় রয়েছে ১১নম্বরে। আর বায়ুর গুণমানের দিক থেকে বাংলার রাজধানী রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।বিশ্বসভায় কলকাতা দূষণমুক্ত শহরের শীর্ষ তালিকায় জায়গা পাওয়ায় ও দ্রুত উন্নয়নশীল শহরের মর্যাদা মেলায় খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সপ্তাদশ শতাব্দীর শেষভাগে সুতানুটি,ডিহি কলকাতা ও গোবিন্দপুর নামে ৩টি শহর নিয়ে গড়ে উঠেছিল শহর কলকাতা।একসময় যা ছিল দেশের রাজধানী,তা পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী।ইতিহাস আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে দ্রুত বেড়ে ওঠা এই সংস্কৃতির রাজধানীকে একসময় ফরাসি লেখক দমিনিক লাপিয়ের সিটি অব জয় নাম দেন,যার অর্থ আনন্দের নগরী।
সেই নাম যে সার্থক তার বারবার স্বীকৃতি মিলেছে,আবারও বিশ্বমঞ্চে সেই কলকাতার গৌরবময় অধ্যায় যুক্ত হল। দুর্গাপুজোর বিশ্বজয়ের আনন্দে উদ্ভাসিত বঙ্গবাসীর উত্সবের রেশ কাটতে না কাটতেই খুশির ছন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করল আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি। একসময় রাজীব গান্ধী যে শহরকে মৃতপ্রায় নগরী বলে উল্লেখ করেন ৩৪বছরের বাম সরকারে পরিবর্তনের পর রূপসী বাংলার সাধের শহরের রূপ বদল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার সরকারের সৌন্দর্যায়ন,পর্যটনের পরিকাঠামোর মাণোন্নয়ন ও প্রাণবন্ত করে তোলার ভাবনা কার্যকর হওয়ায় সাফল্যের সোপানে পা রাখল আমাদের প্রিয় শহর। সেভিল ওয়ার্ল্ড রিসার্চ গ্লোবাল হাব ইনডেক্সের বিশ্বব্যাপী তথ্যসন্ধানে উঠে এসেছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গৌরববৃদ্ধির কথা তুলে ধরেছেন। বিশ্বের ২৩০ টি শহর নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিল সংস্থাটি।
২০২৩ সাল থেকে ডেটা নিয়ে এই সংস্থা ২০৩৩ এর মধ্যে বিশ্বের যে সহরগুলি দ্রুত উন্নয়ন করবে তার তালিকা প্রস্তুত করেছে। ২৩০ টি শহরের মধ্যে কলকাতা ছাড়াও রয়েছে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং মুম্বই। গ্লোবাল হাব ইনডেক্সতাদের গবেষণায় শহরগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা, নাগরিকদের সম্পদ বৃদ্ধি, নতুন শিল্প স্থাপন, বিনিয়োগ এর পরিকাঠামো, জিডিপি এবং মাথা পিছু আয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সব ক’টির নিরিখেই অন্য শহরগুলির তুলনায় এগিয়ে কলকাতা। বিরোধীরা যতই সংশয় প্রকাশ করুক, কলকাতার মাথার মুকুটে যে আর একটি পালক সংযোজিত হল তা বলাই বাহুল্য। নাগরিকদের মতে, এটা সম্ভব হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোরে। এটা সম্ভব হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক নতুন নতুন পরিকল্পনার জোরে।