আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের তাজা গুলির ঘটনাকে আমরা নিন্দা জানায়: জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক

We condemn fresh shootings in Bangladesh: UN Secretary-General's Spokesperson Stephen Dujarric

The Truth Of Bengal: বুধবার রাতে নিউ ইয়র্কে এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক সাংবাদিকের জবাবে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে যে তাজা গুলির ব্যবহার হতে দেখেছি, তার নিন্দা জানিয়েছি। বাংলাদেশ বা অন্য যেকোনো স্থানে হোক, সরকারগুলোকে জনগণের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার এবং সাংবাদিকদের বিনা বাধায় স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।’

নিউ ইয়র্কে ওই ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশের আন্দোলনের ঘটনায় প্রায় তিনজন সাংবাদিক মারা গিয়েছেন। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, সাঈদ খান তাঁর সহকর্মী কিন্তু তিনি কোথায় তা কেউই জানে না।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মেট্রো রেল স্টেশন পোড়ানোর মামলাতে গ্রেপ্তার হয়েছে সাংবাদিক সাঈদ খানকে, এমনই দেখানো হয়েছে।  নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, সংঘাত, হাম্লা-মামলা সহ হতাহতের ঘটনার তদন্তে জাতিসংঘের সাহায্যের বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। এছাড়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের তদন্তে জাতিসংঘ সাহায্য করবে কি না সেটাও জানতে চাওয়া হয়।

সে সময় তার জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘সরকারগুলো বিভিন্ন ইস্যুতে সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এই সহযোগিতা সবচেয়ে ভালোভাবে কিভাবে করতে পারি তা আমরা খতিয়ে দেখি। অন্য যেকোনো তদন্তের জন্য এই সংস্থার আইনি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন।’

স্টিফেন ডুজারিক বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ের শুরুতেই বলেন, ‘আমরা যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সহিংসতা দেখছি, সেখানে যে একটি মানবিক সংকট চলছে তা-ও সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর ঘূর্ণিঝড় রিমালসহ বেশ কিছু কারণের প্রভাব বাংলাদেশজুড়ে এক কোটি ৩০ লাখ লোকের ওপর পড়েছে। তাদের প্রতি আমরা ও আমাদের অংশীদাররা সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।’

মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে কার্ফু-ইন্টারনেট-ব্যাংক সহ নানা পরিষেবা বন্ধ থকাকালীনও ওদেশের জাতিসংঘের অংশীদাররা তাদের কার্যক্রম ব্যাহত হতে দেয়নি অব্যাহত রেখে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। আগের মাসে ১২ লাখ লোকের জন্য জাতিসংঘ এবং এর অংশীদাররা মিলে বাংলাদেশে প্রায় আট কোটি ডলার মানবিক সহায়তার পরিকল্পনা করে। ইতিমধ্যেই তার মাত্র ১৮% অর্থ পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং যমুনা অববাহিকায় বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য মহাসচিবের মুখপাত্র বড় ধরনের মানবিক সহযোগিতার কথাও বলেন।

Related Articles