আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যস্থতায় থাকবে না কাতার

Qatar will not mediate ceasefire talks in Gaza

Truth of Bengal: গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির জন্য মধ্যস্থতা আলোচনায় আর থাকছে না কাতার। শনিবার দেশটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস ও ইজরায়েল আলোচনার টেবিলে আন্তরিকভাবে ফিরে আসার আগ্রহ দেখানোর আগ পর্যন্ত তাদের এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, শুরু থেকেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে উভয় পক্ষ আন্তরিকভাবে আগ্রহী হলেই কেবল মধ্যস্থতা করতে রাজি কাতার। ছোট হলেও প্রভাবশালী এই উপসাগরীয় দেশটি মনে করছে, দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের আর কোনও প্রয়োজন নেই।

ইতোমধ্যে ইজরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের অনেককে হারিয়ে টালমাটাল থাকা দলটির জন্য এটি একটি বড় আঘাত হিসাবে দেখা দিতে পারে। কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে থাকা ইজরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য বিভিন্ন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল। এখনও পর্যন্ত আলোচনা কোনও সুফল বয়ে আনেনি। অক্টোবরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আলোচনাও কোনও চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়।

কারণ, স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল হামাস। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যদি হামাস ও ইজরায়েল যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় ফিরে আসার আন্তরিক ইচ্ছা প্রদর্শন করে তবেই কাতার মধ্যস্থতা করতে আসবে। তাদের এই সিদ্ধান্ত হামাস, ইজরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। হামাস এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

মধ্যস্থতায় সংশ্লিষ্ট এক প্যালেস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, এখনও পর্যন্ত এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য। কাতার আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করবে না প্যালেস্তিনি গোষ্ঠীটি। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা শুক্রবার বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর কাতারে হামাসের উপস্থিতি অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

উল্লেখ্য, কাতারে হামাসের উপস্থিতি নিয়ে এপ্রিলে পুনর্বিবেচনা শুরু করে দেশটির সরকার। এর পর হামাসের নেতারা তুরস্কে চলে যান। বাইডেন প্রশাসন ও ইসরায়েলি সরকার কাতারকে তাদের ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করে। কারণ তুরস্কে অবস্থানকালে আলোচনাগুলো কার্যকর হচ্ছিল না।

ওয়াশিংটনের কাছ থেকে প্রধান ন্যাটো বহির্ভূত মিত্রের মর্যাদা পাওয়া কাতার ২০১২ সাল থেকে হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।দোহায় কতজন হামাস কর্মকর্তা অবস্থান করছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে এর মধ্যে রয়েছেন হামাসের কূটনৈতিক মুখ হিসেবে পরিচিত ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের ডেপুটি খলিল আল-হায়া ও খালেদ মেশাল।

Related Articles