যেন ৯/১১-এর স্মৃতি, এবার রাশিয়ার কাজানে ড্রোন হামলা
Like the memories of 9/11, this time the drone attack in Kazan, Russia

Truth Of Bengal: রাশিয়ার কাজান শহরে বড় ধরনের ড্রোন হামলা হয়েছে। রুশ মিডিয়ার মতে, কাজানের বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনে ড্রোন আঘাত করেছে। ২০০১ সালে আমেরিকায় ১৯ সেপ্টেম্বরের হামলার মতোই এই হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে যেভাবে আবাসিক ভবনের সঙ্গে ড্রোনের সংঘর্ষ হয়েছে এবং আবাসনগুলিতে বিস্ফোরণ ও আগুন লেগেছে, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। হামলার ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এসব হামলা ইউক্রেন করেছে। ড্রোন হামলার পর কাজান বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। কাজান শহরটি রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। কাজানের ছয়টি আবাসিক ভবনে এই ড্রোন হামলা চালানো হয়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, কাজান শহরটি ইউক্রেনীয় সীমান্ত থেকে প্রায় 900 কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এবং অতীতেও ইউক্রেনের দিক থেকে কাজানে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন, তার বাহিনী ইউক্রেনের ১২টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। এদিকে, ইউক্রেনের গণমাধ্যমের দাবি, শুক্রবার রাতে রাশিয়ার রোস্তভের দু’টি তেলের ডিপোতে আগুন লেগেছে। ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার কারণে এই আগুনের সূত্রপাত।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের হামলায় পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। যুক্তরাষ্ট্রের হিমারস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অঞ্চলটির ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেকজান্ডার খিনশটাইন। রুশ গণমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেসামরিক স্থাপনা।
এর মধ্যে রয়েছে প্রাইমারি স্কুল, সংস্কৃতি ভবন রিলস্ক এভিয়েশন কলেজের কোয়ার্টার, অ্যাপার্টমেন্ট, ও বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হতাহতের মধ্যে অন্তত একটি শিশু রয়েছে। তবে গভর্নর জানিয়েছেন, পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত গভর্নর এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, যেটা হয়েছে সেটা আমাদের জন্য একটি ট্র্যাজেডি।
ইউক্রেনের মুহুর্মুহু হামলায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে। এই হামলার যথাযথ জবাব দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রসংগত, রিলস্ক ইউক্রেনীয় সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বসবাস। গত ৬ আগস্ট অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেন। এখনও কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কিয়েভের হাতে।