
The Truth of Bengal: মালদ্বীপে থাকা ভারতের সেনা সদস্যদের প্রত্যাহারের কাজ শুরু হয়েছে। মালদ্বীপে চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর আদেশের ভিত্তিতে তাঁদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মুইজ্জু। মালদ্বীপে ভারতের ৮৯ সেনা মোতায়েন ছিল। সে দেশকে ভারত দুটি হেলিকপ্টার ও একটি ডর্নিয়ার বিমান উপহার দিয়েছিল। হেলিকপ্টার ও বিমানের সাহায্যে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রত্যন্ত এলাকায় অত্যাবশ্যক চিকিৎসাসামগ্রী, খাদ্য ও পণ্য যেমন সরবরাহ করা হয়, তেমনই চিকিৎসার প্রয়োজনে দুর্গত ও গুরুতর অসুস্থদের রাজধানী মালেতে নিয়েও আসা হয়।
দুর্যোগ মোকাবিলায়ও ওই পরিষেবা অত্যন্ত জরুরি। দুপক্ষের আলোচনার পর ১০ মের মধ্যে মালদ্বীপ থেকে মোট ৮৯ ভারতীয় সেনা ও তাঁদের সহযোগীকে প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় ভারত। ১০ মার্চ থেকে এ প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যে আদ্দুর দক্ষিণতম প্রবালপ্রাচীরে মোতায়েন ভারতীয় সেনারা দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে চলে গেছে। সেনা চলে যাওয়ার পর ভারতের বেসামরিক উড়োজাহাজ পরিচালনায় নিযুক্ত কর্মীরা মালদ্বীপে থাকা ভারতের দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি উড়োজাহাজ পরিচালনা করবেন।
ইতিমধ্যে তাঁরা মালদ্বীপে পৌঁছেছেন। তবে এ ব্যাপারে মালদ্বীপ এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহার শুরু হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছে। সেপ্টেম্বরে মুইজ্জু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে মালে এবং নয়াদিল্লির মধ্যে শীতল সম্পর্ক যাচ্ছে। ভারত চায়, মালদ্বীপ তাদের প্রভাব বলয়ে থাকুক। তবে মালদ্বীপ এখন চীনের প্রভাব বলয়ে সরে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে চীনের সঙ্গে সামরিক সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মালদ্বীপ।এদিকে মুইজ্জুর ‘চিনপন্থী’ মনোভাব ও মোদিকে করা তাঁদের মন্তব্যের জেরে ভারতীয় পর্যটক কমে যাওয়ার কারণে মার খাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রটির পর্যটনশিল্প। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন সেদেশের বিরাট সংখ্যক মানুষ।