দাবানলের আশঙ্কা অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে
Fire danger looms over vast areas of Australia

Truth Of Bengal: সবে মাত্র শুরু হয়েছে নতুন বছর। আর এই নতুন বছরে শীতের জেরে কাঁপছে বিশ্বের একাংশ। ভারতেও কম ঠান্ডা পড়েনি। হিমাচল থেকে শুরু করে কাশ্মীর ঢেকেছে বরফের চাদরে। তবে বিশ্বের এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে শীতের পোশাক পড়েও বেঁচে থাকাটা অসম্ভব। আর সেই সব জায়গাগুলির মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় জায়গা হল অ্যান্টার্কটিকার বেশ কয়েকটি স্টেশন, যেমন- ভস্তক রিসার্চ স্টেশন, অ্যামিউন্ডসেন-স্কট সাউথ পোল স্টেশন, ডোম অর্গাস।
এছাড়াও আলাস্কা, রাশিয়া, গ্রিনল্যান্ডের বেশ কিছু জায়গায় তাপমাত্রা নেমে যায় কখনও কখনও -৫৫ ডিগ্রিতে। একদিকে কনকনে ঠাণ্ডার জেরে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে আর পৃথিবীর অন্য প্রান্তে এখন তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যার জেরে দাবানল লেগে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, জায়গাটি হল অস্ট্রেলিয়া।
তীব্র গরমে পুড়ছে দক্ষিণ পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার একাধিক অঞ্চল। এমনকি ভিক্টোরিয়া প্রদেশের তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে দাবানলের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ২০১৯–২০ সালে যে ভয়াবহ দাবানলের সৃষ্টি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায় তার স্মৃতি এখনও দগদগে অবস্থায় রয়েছে স্থানীয় মানুষের কাছে। তাই আবারও কি সেই স্মৃতি ফিরে আসছে, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা-সহ সেখানকার প্রশাসন।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার একাধিক অংশে তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পাড়ে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সোমবার মেলবোর্নের তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০ টার মধ্যেই উত্তর পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পারদ ছিল ৩২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানকার পারদ ছোঁবে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমনটাই মত হাওয়া অফিসের। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, জানুয়ারি মাস পড়তেই সচরাচর এরকম তীব্র গরম দেখা যায় না অস্ট্রেলিয়ায়। তবে এবার তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে সাধারণ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলের আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে আগে থেকেই সতর্কতা জারি করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।