আন্তর্জাতিক

আদালতে ধাক্কা খেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত শুল্কনীতি

Donald Trump's controversial tariff policy hits a snag in court

Truth of Bengal: মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্কনীতি রদের আদেশ কোর্টের।  আমেরিকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক একটি আদালত জানিয়ে দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্প তাঁর আইনি ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন করেছেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা না করেই ট্রাম্প একক সিদ্ধান্তে এই শুল্ক আরোপ করেন, যা সংবিধানসম্মত নয়।হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে ট্রাম্প প্রশাসন।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কুশ দেশাই বলেন, ‘ দেশের জরুরি পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হবে, তা অনির্বাচিত বিচারকেরা ঠিক করে দিতে পারেন না।’ সেইসঙ্গে আদালতের তিন বিচারকের পর্যবেক্ষণ,  আপৎকালীন এই আইনও প্রেসিডেন্টকে অন্য দেশের উপর শুল্ক আরোপ করে আমেরিকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার চূড়ান্ত ক্ষমতা দেয় না। সেই কারণে আদালত ট্রাম্পের নীতিকে ‘আইনবহির্ভূত’ বলে আখ্যা দেয় এবং তার পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দেয়। এই রায়ের পর আমেরিকায় চাঙ্গা হয়েছে অর্থনৈতিক বাজার। বুধবার ডলারের দাম ইউরো, ইয়েন এবং সুইস ফ্রাঙ্কের তুলনায় উর্ধ্বমুখী ছিল। দেশের শেয়ার বাজারেও দেখা গেছে ইতিবাচক সাড়া।

উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট’-এর আওতায় ‘জরুরি পরিস্থিতি’র যুক্তি দেখিয়ে বিভিন্ন দেশের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। গত ২ এপ্রিল তিনি ঘোষণা করেন, যে দেশ আমেরিকার পণ্যের উপর যত শুল্ক আরোপ করে, আমেরিকাও সেই দেশের পণ্যে সমপরিমাণ শুল্ক বসাবে। এমনকী আমদানির চেয়ে রফতানি বেশি করে এমন দেশগুলোর উপর বাড়তি কর বসানো হয়। ভারতের ক্ষেত্রেও ২৬ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হয়েছিল।ট্রাম্পের এই নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল আমদানিকৃত পণ্যের উপর নির্ভরশীল বেশ কিছু মার্কিন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। আদালতের এই রায় তাঁদের জয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এখন দেখার, আপিলে কী সিদ্ধান্ত আসে এবং তার প্রভাব কতটা পড়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে।

 

 

 

Related Articles