
The Truth of Bengal: বন্যার বিপর্যয় কাটাতে না কাটাতেই সিঁদুরে মেঘ হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন ঘূর্ণিঝড়। কেনিয়া ও তানজানিয়ায় শনিবার ভারত মহাসাগরের উপকূলরেখার দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা দেয়া হয়েছে। এই অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার পরে এই ঘূর্ণিঝড়টি আরেকটি দূর্যোগের আশংকা তৈরি করেছে। সম্প্রতি আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বাড়িঘর, রাস্তা ও সেতু ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৪০০ লোক প্রাণ হারিয়েছে ও কয়েক হাজার মানুষের বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো আবহাওয়া পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ অভিহিত করে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য জাতিকে প্রস্তুত রাখার লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছেন। সপ্তাহান্তে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় হিদায়া কেনিয়া ও তানজানিয়ার উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রুটো বলেন, ঝড়টি ‘মুষলধারে বৃষ্টি, প্রবল ঝড় ও শক্তিশালী ও বিপজ্জনক জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।’ সরকারি তথ্য অনুসারে, কেনিয়ায় বন্যাজনিত ঘটনায় প্রায় ২১০ জন মারা গেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কেনিয়ার আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় হিদায়া ৪০ নট গতিবেগে ও দুই মিটার উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস নিয়ে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধান নদী বা বাঁধের কাছাকাছি বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।