দাবানলের মধ্যেও লুটের অভিযোগ, লস অ্যাঞ্জেলসে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার ২০
20 arrested for theft in Los Angeles, accused of looting amid fires

Truth Of Bengal : বিধ্বংসী দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলস। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই দাবানলের লেলিহান শিখা জালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসের একাধিক অংশ। প্রায় পুরো শহর জুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আগুনে পুড়ে ছায় হয়ে গিয়েছে ৩৫ হাজার বাড়িঘর, পুড়ে গিয়েছে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বহু মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসা হলেও বহু মানুষ এখনও আটকে রয়েছে শহরে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে মানুশেরচ অমানবিকতা দেখে সত্যি কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না বিশ্বের সাধারণ নাগরিক।
একদিকে মানুষ প্রাণের ভয়ে পালানোর চেষ্টা করছে আর অন্যদিকে চলছে দেদার লুটপাট। দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতে মানুষ যে এতোটা আমানবিক আর লোভী হতে পারে তা এই লস অ্যাঞ্জেলসের বিধ্বংসী দাবানলই বুঝিয়ে দিল।
জানা গেছে দাবানলের ঘটনার পর থেকে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ২০ জনকে। এই গ্রেফতারের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এমনকি এই চুরির তালিকায় রয়েছে ২ জন দমকলকর্মীও। আসলে তারা আদেও দমকলকর্মী ছিলেন না, চুরি করবে বলেই ছদ্মবেশ ধারন করেছিল তারা। তাদেরকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গতও লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানল কমার নামই নিচ্ছে না। একেই দাবানল তার উপরে টর্নেডোর থাবা। যার জেরে আগুন দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ভয়াবহ দাবানল প্রাণ কেড়েছে ২৪ জনের। মৃতদের মধ্যে এখনও ১০ জনকে শনাক্ত করা যায়নি বলে জানা যাচ্ছে। এই দাবানলের জেরে মৃত এবং আহতের সংখ্যা যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য।
এই দাবানল নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগুন নেভাতে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। মিলছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে জল। যে দ্রুততার সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে লোকালয়ে তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে জল। আর সেটারই যোগান দিতে অক্ষম হচ্ছেন দমকল কর্মীরা। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই পরিস্থিতিতে চিন্তায় মাথায় হাত স্থানীয় প্রশাসনের। আর প্রশাসনের এই চিন্তার কথা ভেবেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প। সেই কারণেই তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে অপদার্থ বলে সম্মোধন করেছেন।