সীমান্তের আঁচ কমাতে পারবে বিএসএফ-বিজিবি বৈঠক?
Will the BSF-BGB meeting be able to reduce border tensions?

Truth Of Bengal: শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে অস্থিরতা বাড়ে। প্রতিবেশী দেশের সেই রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে মাথাচাড়া দেয় ধর্মীয় মৌলবাদ। এরপরই বাংলাদেশ থেকে এপার বাংলায় অনুপ্রবেশের ঝোঁক বাড়ে। বিএসএফ সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বেড়া দিতে গেলে বাধার মুখে পড়ে। তাই এই সীমান্তের জটিলতা কাটাতে সোমবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছে বিএসএফ ও বিজিবি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (‘বিজিবি’) এর মধ্যে ৪ দিনব্যাপী ৫৫ তম সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হয় বুধবার। নয়াদিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চার দিনের এই বৈঠক চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত । বৈঠকে সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধ, কাঁটাতার নির্মাণ, মাদক ও চোরাচালান মোকাবিলা, সীমান্তে খুন বন্ধ, এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতার নির্মাণ এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন মেনে চলার বিষয়েও আলোচনা প্রক্রিয়ায় রাখা হয়েছে।
সম্মেলনে বিজিবি ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠায়। এই দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় , স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় , পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় , ভূমি জরিপ অধিদফতর ও যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধি হিসেবে হাজির।
অন্যদিকে বিএসএফের ১৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশ নিতে তত্পর। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করার কথা।