
The Truth of Bengal: জেলের মধ্যেই ধীরে ধীরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হত্যার চেষ্টা চলছে! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের একটি চিঠি প্রকাশ করেছে আপ। তবে এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আপাতত সুস্থ। এইমসের এক চিকিৎসক তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেছেন। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঠিকানা তিহার জেল। সেই তিহার জেলেই বন্দি অবস্থাতেই কেজরিওয়ালকে বাড়ির খাবার খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, আদালতের তরফ থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অপর একটি অনুরোধ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কেজরিওয়ালের রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শের জন্য সপ্তাহে তিনবার ভার্চুয়ালি সাক্ষাকারের আবেদন করেছিলেন। বিশেষ আদালতের তরফ থেকে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
তারপরই ইডির আধিকারিকরা দাবি করেন, সুগারের রোগী হয়েও কেজরিওয়াল রক্তে শর্খরার মাত্রা বাড়াতে ইচ্ছাকৃতবাবে চিনি দেওয়া চা, আম ও মিষ্টি খেয়ে চলেছেন। যার জেরে তাঁর রক্তে ষর্করার পরিমান ওঠানামা করছে। মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন পেতেই এই কাজ কেজরিওয়াল করছেন বলে ইডির দাবি। ইডির এই অভিযোগকে মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করেছেন আপ নেতা অতিশি। তাঁর দাবি, কেজরিওয়ালের বাড়ির খাবার বন্ধ করে তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি ও ইডি। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পরদিনই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের একটি চিঠি প্রকাশ্যে আনে আপ। জানা যায়, দিল্লির কারা ডিজি সঞ্জয় বানিওয়াল এমস-এর ডিরেক্টরকে একটি চিঠি লেখেন।
যেখানে দেখা যায়, কেজরিওয়ালের জন্য একজন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ চিকিসকের ব্যবসক্থা করা দরকার। এই মর্মে এমস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায় জেল কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিকে হাতিয়ার করেই এবার আম আদমি পার্টির তোপ, জেলে পর্যাপ্ত ওযুধ ও চিকিতসা ব্যবস্থা থাকার কথা জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বারংবার জানানো হয়েছে। তবে সেটা যে একেবারেই ভিত্তিহীন এই চিঠিই তার প্রমান। তবে আপের এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানায়, আলাদা করে এমসের চিকিতসকের ব্যবস্থা করার কারণ তাঁর স্ত্রীর অনুরোধ। ভিডিও কনফারেন্সে আপ সুপ্রিমোর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে চিকিতকর জানান, কেজরিওয়ালকে নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। আগামীতে নিয়মিততাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হবে বলেও জানায় জেল কর্তৃপক্ষ।