দেশ

ক্ষমতার অপব্যবহার করায় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে তিরস্কার করল শীর্ষ আদালত

The Supreme Court rebuked the Uttarakhand Chief Minister for abuse of power

Truth Of Bengal: উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামির বিরুদ্ধে অভিযোগ এক পদচ্যুত আইএফএস অফিসারকে নিজের ইচ্ছা মত পদে বসানোর। এই ঘটনাটি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আসায় সরকারকে তিরস্কার করল বিচারপতিরা। জানা গিয়েছে  ধামি যে পদচ্যুত আইএফএস অফিসারকে নিজের ইচ্ছে মত পদে বসানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন ওই অফিসারের নাম রাহুল।

তিনি এর আগে করবেট ব্যাঘ্র সংরক্ষণের অধিকর্তা ছিলেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তাকে অপসারিত করা হয়। এমনকি তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাকেই উত্তরাখণ্ডের রাজাজি ব্যাঘ্র সংরক্ষণের অধিকর্তা পদে বসাতে চেয়েছিলেন ধামি। তবে এই বিষয়ে আপত্তি জানায় বনমন্ত্রী সহ অনন্যরা। তবে তাদের আপত্তিকে পরোয়া না করে ১০ আগস্ট রাহুলকে নিয়োগ করা হয়। এর পরেই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।

পদচ্যুত আইএফএস অফিসারকে নিয়োগ করার মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি পিকে মিশ্র এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে। বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মানে কি যা খুশি তা-ই করতে পারেন! একটি গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানের কাছ থেকে পুরনো দিনের রাজার মতো আচরণ বাঞ্ছিত নয়। আমরা কোনও সামন্ততান্ত্রিক জমানায় বাস করছি না।’’

পদচ্যুত আইএফএস অফিসারকে নিয়োগ নিয়ে সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেন ‘‘যেখানে আপনার উপসচিব, প্রিন্সিপাল সচিব, এমনকি বনমন্ত্রীও নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলছেন, সেখানে ওই অফিসারের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ‘বিশেষ স্নেহে’র কারণ কী?’’ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামির উদ্যেশে আদালত বলেন ‘‘উনি মুখ্যমন্ত্রী বলে যা খুশি তা-ই করতে পারেন? একজন অফিসারের নিয়োগ নিয়ে সমস্ত আপত্তি তিনি এড়িয়ে গেলেন? এক বারও ভাবার প্রয়োজন মনে করলেন না কেন আপত্তি উঠছে?’’

শীর্ষ আদালতের এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন ‘‘একজন দক্ষ অফিসার, যাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, তাঁকে স্রেফ কিছু আপত্তির জন্য বলি দেওয়া যায় না।’’ এর পাল্টা জবাবে শীর্ষ আদালত বলেন ‘‘যদি কোনও অভিযোগ না-ই থেকে থাকে, তা হলে আপনারা তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করছেন কেন? যার-তার বিরুদ্ধে তো আর এমন তদন্ত করা হয় না।’’

Related Articles