ভোটের মাঝে বাজার আগুন,১৩মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি! ত্রাহি ত্রাহি রব
The market is on fire in the middle of the vote, the highest wholesale inflation in 13 months

The Truth of Bengal: আচ্ছেদিনের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কেটে গেছে ১০বছর।আম আদমির কোনও সুরাহা হয়নি,দাবি বিরোধীদের। উল্টে বাজার আগুন হয়েছে। পেট্রোল-ডিজেলের মতোই গ্যাসের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি ক্রেতাদের হাতে ছ্যাঁকা লাগাচ্ছে। দামের আগুন নেভাতে কেন্দ্র কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে মোদি-শাহদের। তার মাঝে এবার অগ্নিমূল্যের আঁচ মিলছে। দেখা গেল, ১৩মাসের মধ্যে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।রান্না করতে গেলে একদিকে যেমন গ্যাসের জন্য পকেট ফাঁকা হচ্ছে তেমনই রান্নার সামগ্রীর জন্য দিতে হচ্ছে চড়া মূল্য।
আমরা জানি আলু ছাড়া রান্না করা অসম্ভব। সেই আলুর পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি এপ্রিলে ৭১.৯৭শতাংশ বেড়েছে,মার্চে যা ছিল ৫২.৯৬শতাংশ।পিঁয়াজ যা মার্চে ছিল ৫৬.৯৯শতাংশ,এপ্রিলে সেই আমিষ উপাদানের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯.৭৫শতাংশ,মার্চে এই পিঁয়াজের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫৬.৯৯শতাংশ। তথ্য বলছে, আলু –পিঁয়াজের মতোই সব্জির দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৭২শতাংশও ৬০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টে আরও স্পষ্ট, দেশের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার গত ১ বছরে বেড়ে ১.৩ শতাংশে পৌঁছেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় এবছরের এপ্রিলে এই পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ১.৩ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলেন,পণ্য-পরিষেবার মূল্যবৃদ্ধি এবং টাকার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়াকেই মুদ্রাস্ফীতি বলে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকার দাম কমে যায়। আরও বেশি টাকা খরচ করে মানুষকে জিনিস কিনতে হয়। সামগ্রিকভাবে মূল্যবৃদ্ধির জন্য মুদ্রাস্ফীতি ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যেতে পারে। যারজন্য অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিরোধীদের প্রশ্ন,৫ট্রিলিয়ন অর্থনীতির স্বপ্ন ফেরি করা মোদি সরকার আমজনতার রোজকার প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বা ভোগ্যপণ্যের দাম কমাতে না পারলে কিকরে স্বস্তি পাবে দেশবাসী ? কিকরে আসবে আসল আচ্ছেদিন ?