
The Truth of Bengal: দেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট ছিলো কার্যত সেমিফাইনাল। হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্য গেরুয়ার দখলে। দক্ষিণের তেলেঙ্গানায় মুখ রক্ষা করতে পেরেছে হাত শিবির। অন্যদিকে চব্বিশ এ বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে একজোট হয়েছে 28 টি রাজনৈতিক দল। চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের দিন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে 6 ডিসেম্বর দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক ডাকেন। তবে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন।
এরপর নীতীশ কুমার অখিলেশ যাদব, এমকে স্ট্যালিন রা একে একে বৈঠকে হাজির না থাকার কথা জানান। এরপরই উঠতে শুরু করে একাধিক প্রশ্ন? তাহলে কি ফাটল ধরল ইন্ডিয়া জোটে? রাজনৈতিক মহলের একাংশ তিন রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য কংগ্রেসের ‘একলা চলার’ মনোভাব কে দায়ী করেন। যে কারণে মল্লিকার্জুন খারগের ডাকা বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়। ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
সেই আবহে ইন্ডিয়ার অন্যতম শরিক আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব জানালেন ইন্ডিয়া জোটের পরবর্তী বৈঠক ১৭ই ডিসেম্বর। তবে জোটের এই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির থাকতে পারবেন না বলি জানিয়েছেন। উত্তরবঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে যে কারণে ১৭ই ডিসেম্বর জোটের বৈঠকে থাকছেন না মমতা অভিষেক। শরিক দলের সঙ্গে কংগ্রেসের টানাপোড়নের এই আবহে লালু প্রসাদ যাদবের ডাকা এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তবে অন্যান্য শরিক দলগুলি জোটের পরবর্তী বৈঠকে উপস্থিত থাকেন কিনা? সেটাই এখন দেখার।