দেশ

হু-র রিপোর্ট অনুসারে ভারতে বাড়ছে জিরো ডোজ শিশুর সংখ্যা, উদ্বেগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

Number of zero-dose babies in India on the rise, worries Union Health Ministry, WHO reports

The Truth of Bengal: রোগ ও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষার জন্য শিশুদের টিকাকরণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, শিশুদের প্রথম দু’বছরে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দিয়ে দেওয়া উচিত। ‘ভারতের সর্বজনীন টিকাদান কর্মসূচি’-এর মাধ্যমে শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ সরকারি ভাবে বিনামূল্যে ১২টি টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে BCG, OPV, Hepatitis B, Pentavalent, Rotavirus Vaccine, DPT ও TT-এর মত ভ্যাকসিন রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক বছরে দেশে শিশুদের টীকাকরণের হার কমেছে।

এ বিষয়ে সম্প্রতি ইউনিসেফ-ডব্লিউএইচও একটি প্রতিবেদন পেশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ভারতে টিকা পায়নি প্রায় ১৬ লাখ শিশু। ওই সালে নাইজেরিয়ার পরে ভারতই এমন একটি দেশ যেখানে বেশিরভাগ শিশু কোনও টিকা পায়নি।ওই সালে, নাইজেরিয়ার প্রায় ২১ লাখ শিশু কোনো টিকা পায়নি। ইউনিসেফ-ডব্লিউএইচও’র সাম্প্রতিক প্রকাশিত একটি রিপোর্টে রয়েছে, ২০২১ তুলনায় ২০২৩-এ টিকাকরণে উন্নতি হয়েছে, তবুও বর্তমান পরিস্থিতি একটি শোচনীয় বিষয়। টিকা না পাওয়া শিশুর সংখ্যা ২০২১-এ ছিল ২৭.৩ লাখ সেটি ২০২৩-এ ১৬ লাখে নেমেছে। ভারত ছাড়া অন্য যে দেশগুলোতে ২০২৩-এ জিরো-ডোজ ভ্যাকসিনের কেস ফাইল করা হয়েছিল তার মধ্যে ছিল ইথিওপিয়া, কঙ্গো, সুদান এবং ইন্দোনেশিয়া।

‘জিরো-ডোজ’ দেশের তালিকায় শীর্ষ ২০ টির মধ্যে চীন রয়েছে ১৮-তে যেখানে পাকিস্তান রয়েছে 10 তম। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে প্রচেষ্টা বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যার সাহায্যে টিকাকরণের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, টিকাবিহীন ও সমস্ত টিকা পায়নি এমন শিশুরদের জন্য জরুরি ও দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এই শিশুরা কখন, কোথায়, কেন পিছিয়ে রয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে। ডব্লিউএইচও-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ বলেন, প্রাণঘাতী রোগের হাত থেকে বাঁচতে নিরাপদ-কার্যকর ভ্যাকসিন রয়েছে, শিশুদের জন্য ওই সমস্ত টিকা ভীষণ জরুরি।

Related Articles