
The Truth Of Bengal : পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের পূর্বাভাস এখন দুই দিন আগে পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (জিএসআই) কলকাতা ক্যাম্পাসে ন্যাশনাল ল্যান্ডলাইড ফোরকাস্টিং সেন্টার (এনএলএফসি) খোলা হয়েছে। শুক্রবার এর উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনির মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। এর সাথে তিনি ‘ভূসঙ্কেত’ নামে একটি ওয়েব পোর্টাল এবং ‘ভূস্খলন’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপও চালু করেছেন। এসবের মাধ্যমে ভূমিধসের পূর্বাভাসের সঙ্কেত দেবে বলে দাবি করছে ন্যাশনাল ল্যান্ডস্লাইড ফোরকাস্টিং সেন্টার (এনএলএফসি)।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন যে NLFC-এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল পূর্বাভাস দেওয়া এবং অনেক রাজ্যে ভূমিধসের তথ্য প্রচার করা যাতে তাদের ঝুঁকিগুলি আরও ভালভাবে মূল্যায়ন করা যায়। ভূমিধস বন্ধ করা যাবে না, তবে তাদের দ্বারা সৃষ্ট জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেতে পারে।
দেশে ভূমিধস প্রতিরোধ এবং দুর্যোগ প্রস্তুতির দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রাথমিকভাবে বাংলার কালিম্পং এবং দার্জিলিং এবং তামিলনাড়ুর নীলগিরির বাসিন্দারা ভূমিধসের পূর্বাভাস পাবেন। এই ব্যবস্থা ২০৩০ সালের মধ্যে সমস্ত ভূমিধস-প্রবণ রাজ্যগুলিতে সম্প্রসারিত হবে।
উল্লেখ্য যে, দেশে ভূমিধসের প্রধান কারণ হিসেবে বৃষ্টিপাতকে চিহ্নিত করা হয়, তাই আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যের সাথে পূর্বাভাস ব্যবস্থাকে একীভূত করা হয়েছে।