“অনেক কিছুই করতে পারতাম” অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বক্তব্য রাজনাথের

Truth Of Bengal: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে এবার বড় মন্তব্য করে বসলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কি বললেন তিনি? প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান যে তারা আরো অনেককিছু করে দেখাতে পারতো, কিন্তু তারা দেখিয়েছে সংযম। এখানেই শেষ নয়, কাশ্মীরে বাস করা বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যেও কিছু বক্তব্য রাখেন রাজনাথ সিং। তিনি জানান যে সেখানকার বাসিন্দারা ভারতের এবং শীঘ্রই তাঁরা ফিরে আসবেন মূলস্রোতে। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দেন যে ভারত চাইলেই সহজে কাশ্মীর নিজেদের দখলে আনতে পারে।

বর্তমানে গোটা ভারতবর্ষে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে অপারেশন সিঁদুর। ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের পর প্রশংসার বন্যা বয়ে চারিদিক থেকে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে দেশবাসীরা অভিনন্দন জানান কেন্দ্র সরকার ও সেনাকে এবং দাবি করেন যে একদম সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অনেকে এটাও দাবি করেন যে উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। বলতে গেলে, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য মুগ্ধ করেছিল গোটা দেশকে।

তবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে ও ইসলামাবাদের অনুরোধে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয় ভারত সরকারের তরফ থেকে। চোখের নিমেষে প্রশংসা পরিণত হয় নিন্দায়। দেশবাসীদের একাংশ থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, সকলেই এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেন এবং দাবি করেন যে এমনটা একেবারেই করা উচিত হয়নি কেন্দ্রের। যদিও বিজেপি সরকারের তরফ থেকে পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বলা যায়, এই যুদ্ধবিরতি নষ্ট করে দেয় বিজেপি ও তাদের বিরোধীদের সাময়িক ঐক্য।

এবার এই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান জানালেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন দিল্লিতে সিআইআই বাণিজ্যিক সম্মেলনে এসে উপস্থিত হন এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সময় যা করে আমরা দেখিয়েছিলাম, তা গোটা বিশ্বকে হতবাক করেছে। এর থেকে এটা প্রমাণিত যে আমরা শত্রুদের কড়া জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখি। আরো অনেককিছুই করতে পারতাম। কিন্তু আমরা সংযম দেখিয়েছি।” এরপর কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওখানকার বাসিন্দারা আমাদেরই। রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক কারণে ওরা আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও আমার বিশ্বাস ওরা দেশের মূলস্রোতে ফিরে আসবে। আমার বিশ্বাস ফের কাশ্মীর ভারতের অংশ হবে।” প্রসঙ্গত, ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের সূত্রপাত কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ভারতীয় পর্যটকদের উপর জঙ্গিদের হামলা থেকে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের একাধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। নিহত হন অজস্র সন্ত্রাসবাদী ও পাক সেনা।